‘ফণী’র প্রভাবে সমুদ্র উপকূলের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে চট্টগ্রাম নগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বাতাসের অতি প্রবল বেগের কারণে বিভিন্ন স্থানে কাঁচা বাড়ি-ঘর, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। নগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকা, আনোয়ারার গহিরা, সরেঙ্গা, বাঁশখালী, সন্দ্বীপসহ নিম্নাঞ্চলে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে পানি। ভেসে গেছে ঘর-বাড়ি, চিংড়ি ঘের ও ফসলী জমি।
নগরীর ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কমিশনার জিয়াউল হক সুমন বলেন, সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের নির্মাণাধীন বাঁধ ভেঙ্গে আকমল আলী রোড এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে।
এদিকে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধ ও নবনির্মিত বেড়িবাঁধের কিছু অংশ ভেঙে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গহিরা গ্রাম ও সরেঙ্গা গ্রাম লবণ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে বিপুল পরিমাণ ফসলী জমি ও মাছের ঘের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে কয়েকটি কাঁচা ঘর-বাড়িও।
এদিকে শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরী ও আশপাশের এলাকায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত শুরু নগরীর বিভিন্ন সড়কে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে। এতে কয়েকটি সড়কে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। তবে হতাহত কিংবা বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে গাছপালা ভেঙ্গে বৈদ্যুতিক তারের উপর পড়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যহত হয়েছে। নগরীর আসকার দিঘীর পাড় এলাকায় লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দুইটি বড় কৃষ্ণচূড়া গাছ রাস্তার ওপর উপড়ে পড়ে। এতে একটি প্রাইভেট কার ও একটি বিদ্যুতের খুঁটিও ভেঙ্গে যায়। এছাড়া গাছ ভেঙ্গে বৈদ্যুতিক তারের উপর পড়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার সকাল ১১টা থেকে প্রায় ২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। ওই সময় সেখানে জেনারেটর দিয়ে বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে কয়েকটি জায়গায় গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। মিরসরাই উপজেলায় তিনটি কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য নেই।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন