‘প্রতিকেজি গরুর মাংসের এক দাম ৭০০ টাকা। তবে আপনাকে সম্মান করে ৫০ টাকা কম রাখা হবে। আপনার জন্য ৬৫০ টাকা রাখবো।’
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ রুহুল আমিন হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড ছদ্মবেশে গরুর মাংস কিনতে গেলে তাকে এভাবেই দাম জানান। তবে ইউএনও যখন ছদ্মবেশ খুলেন, তখন সব মাংস বিক্রেতা সুর নরম হয়ে যায়। মুহূর্তেই কমিয়ে দিলেন মাংসের দাম। এ সময় বেশি দামে মাংস বিক্রি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিন জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে একজনের কাছ থেকে মুচলেকাসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং দুইজনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, মাত্র তিনদিন আগেই গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা হবে ৫০০ থেকে ৫৭০ টাকায় (মানভেদে)। কিন্তু আজ দেখি ভিন্ন চিত্র। প্রতিকেজি মাংস বিক্রি করা হচ্ছে ৭০০ টাকায়। রমজানে বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে গরুর মাংস বিক্রেতারা এমন কারসাজি করছে।’
এদিকে, বিকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বুড়িশ্চর এলাকায় একটি ঘি তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে দেড় হাজার লিটার ভেজাল ঘি জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ রুহুল আমিন এ অভিযান পরিচালনা করেন।
মুহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, কারখানায় অভিযান চালিয়ে অনিল ঘোষ বাঘা বাড়ি ঘি, স্পেশাল গাওয়া ঘি, সুরেষ বাঘা বাড়ি ঘি, জব্বার বাঘা বাড়ি ঘিসহ বিভিন্ন নামি ব্র্যান্ডের প্রায় ২ লাখ স্টিকার জব্দ করা হয়েছে। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপকরণ দিয়ে তৈরি প্রায় দেড় হাজার লিটার ভেজাল ঘি জব্দ করে নালায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। নকল ঘি তৈরি এবং বাজারজাত করায়ে আব্দুল আওয়ালকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার