চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পানি ওঠে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ফলে দেশের অন্যতম বৃহত্তম এ মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। কমেছে গাড়ি গতি। টানা ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বসে থাকতে হয়েছে যানবাহনকে। চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা। তাছাড়া বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় বিভিন্ন উপজেলা তলিয়ে যায় পানিতে। দুর্বিষহ হয়ে ওঠে জনজীবন। অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও শঙ্খ নদীর পানির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন অবস্থা হয়েছে বলে জানা যায়।
জানা যায়, গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারি কসাইপাড়া থেকে জামিরজুরি মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে প্রায় কোমর সমান এবং সাতকানিয়ার কেরানিহাটে পানি উঠে। এ কারণে যানবাহন চলচিল খুব ধীরগতিতে। পানি জমে থাকা দুই পাশে তৈরি হয় যানবাহনের জট। গত শনিবার রাত ১২টায় চট্টগ্রাম থেকে রওনা হওয়া যাত্রীরা রবিবার দুপুরেও কক্সবাজার পৌঁছাতে পারেনি। দূরপাল্লার বাসের যাত্রীরা রাতে গাড়িতেই সময় কাটিয়েছেন। গতকাল রবিবার দুপুরের দিকে কিছু কিছু গাড়ি চলাচল শুরু করলেও মহাসড়ক থেকে পানি নামেনি।
এর আগে সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়ায় পানি উঠে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের সঙ্গে বান্দরবানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাছাড়া পাহাড়ধসের কারণে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার সঙ্গেও চট্টগ্রামের সড়কপথের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন আছে।
হাইওয়ে পুলিশের দোহাজারি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফরহাদ হোসেন বলেন, চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ হাসিমপুরের কসাইপাড়া এলাকার দু’টি স্পটে প্রায় কোমর সমান পানি উঠে। এ কারণে যানবাহন খুব ধীরগতিতে চলছে। ফলে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, টানা বর্ষণে বন্যা দেখা দিয়েছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায়। বিশেষ করে কর্ণফুলী, হালদা ও সাঙ্গু নদী সংলগ্ন উপজেলাগুলোর অবস্থা চরম বেহাল। এসব নদীতে পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি বেড়ে তলিয়ে যায় লোকালয়। সবচেয়ে বেশি বন্যা হয়েছে সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, দোহাজারী, খাগরিয়ায়।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, শনিবার রাতের বৃষ্টিতে সাতকানিয়ার ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৬টিতে প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। কেরানিহাটে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পানি ওঠায় যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার