১৪ জুলাই, ২০১৯ ২০:৪৪

নানামুখী সংকটে চট্টগ্রাম বন্দর

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম:

নানামুখী সংকটে চট্টগ্রাম বন্দর

ফাইল ছবি

টানা বর্ষণ, জলাবদ্ধতা, সড়ক ও অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের চলমান কাজের জন্য যানজট লেগেই আছে বন্দর সড়কে। আবার অতিবৃষ্টি ও সাগর উত্তাল থাকায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ধরে বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কার্যত বন্ধ রয়েছে। এর ফলে নানামুখী সংকটে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। জাহাজে কার্গো পণ্য উঠানামা বন্ধ থাকায় আমদানি-রফতানিও ব্যাহত হচ্ছে।

আবার বন্দর সড়কে তীব্র যানজটের কারণে বন্দরের জেটিতে প্রবেশ করা ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান-লরি স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। এর ফলে বন্দরের ইয়ার্ড থেকে পণ্য খালাসে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এতে বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনার জটের পাশাপাশি জেটিতে জাহাজ জটও তৈরি হচ্ছে। এসব কারণে বন্দরকেন্দ্রিক আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারিরা।

এদিকে বন্দরের বহির্নোঙরে রবিবার বেলা ১১ পর্যন্ত পণ্য খালাসের অপেক্ষায় ছিল মোট ৭৭টি জাহাজ। এরমধ্যে খোলা পণ্যবাহী মাদারভ্যাসেল ৩৭টি, কনটেইনারবাহী জাহাজ ছিল ১৪, স্ক্র্যাপ এবং অন্যান্য পণ্যবাহী জাহাজ ২৬টি।


লাইটারেজ জাহাজ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের কর্মকর্তারা জানান, বন্দরের বহির্নোঙ্গরে স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিদিন যেখানে ৪৫ থেকে ৫০টি জাহাজে পণ্য খালাস চলে, সেখানে বৃষ্টিপাত কমলে ফাঁকে ১০ থেকে ১৫টি জাহাজে কাজ হচ্ছে। অথচ বন্দরের বহির্নোঙরে ৭৭টি বড় জাহাজ বিভিন্ন পণ্য খালাসের অপেক্ষায় বসে আছে।

এদিকে বন্দর কর্মকর্তারা বলেন, বৃষ্টির কারণে বহির্নোঙ্গরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার চেয়েও মারাত্মক সংকটে ফেলেছে বন্দরের আশপাশের সড়কে ভয়াবহ যানজট। এতে করে বন্দরে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক, লরি প্রবেশ করতে যেমন সীমাহিন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে, তেমনি পন্যবাহী কোনো ট্রাক-লরিও বের হয়ে যথাসময়ে গন্তব্যে যেতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। বন্দরের ইয়ার্ড থেকে কোনো কনটেইনার ইনল্যান্ড ডিপোতে নিতে গেলও এই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ট্রাক-লরির ভাড়াও একদিনের স্থলে দুইদিনের ভাড়া গুণতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর