জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে চট্টগ্রামে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা হয়। আজ বুধবার সূর্যোদয়ের পরই চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কর্মসূচি।
এরপর বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলের শ্রদ্ধা জানানো হয়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই চট্টগ্রামের সরকারি অফিস-আদালত, বিভিন্ন ভবন আলোকায়ন করা হয়েছে। ৭ মার্চের সেই কালজয়ী ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধের গান, সভা-সমাবেশ- শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতাসহ নানা আয়োজনে স্মরণ করা হচ্ছে জাতির জনককে।
সকালে চট্টগ্রামে শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, জেলা প্রশাসক মোমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার রাশেদুল হকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ বলেন, শিশুদের সামনে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ তুলে ধরতে হবে। কারণ আগামী দিনে তারাই একেকজন যাতে নিজেদের বঙ্গবন্ধুর মত করে গড়ে তুলতে পারেন। আমাদের জাতির পিতার আজীবন লালিত স্বপ্ন এই বাংলার মানুষের মুক্তি। তাঁর প্রথম স্বপ্ন ছিল রাজনৈতিক মুক্তি।
সেই মুক্তি তিনি আমাদের দিয়েছেন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, নিজে ১৩-১৪ বছর জেলখানায় অমানুষিক কষ্ট সহ্য করে। এরপর অর্থনৈতিক মুক্তি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা আমরা উনার নেতৃত্বে করতে পারিনি। এদেশের একদল দুষ্টচক্র তাঁকে হত্যা করায় আমরা পারিনি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অর্থনৈতিক মুক্তিতেও তিনি নেতৃত্ব দিতেন।’
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর