চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিকের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আগ্রাবাদ এলাকায় বক্স কালভার্ট উন্মুক্ত করে খাল খনন ও পরিষ্কারের কার্যক্রম চলছে।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে আগ্রাবাদ বিদ্যুৎ ভবনের সামনে চলমান প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক কমান্ডার মো. এনামুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর নিয়াজ মুহাম্মদ খান এবং চসিক ও নৌবাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মেয়র জানান, “সম্প্রতি ১৯০ থেকে ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেও পূর্বের তুলনায় জলাবদ্ধতা অনেকটাই কমে এসেছে। এ ফলাফল আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টারই প্রমাণ।”
তিনি বলেন, “১৯৯৮ সালে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত বক্স কালভার্টটির মেরামত বা পরিষ্কারের জন্য কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকার জলাবদ্ধতা বাড়ছিল। আজ প্রায় ২৭ বছর পর এটি সংস্কার করা হচ্ছে।”
চসিকের অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পে নৌবাহিনী কাজ করছে উল্লেখ করে মেয়র জানান, “এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, কারণ এলাকাটিতে বিষাক্ত গ্যাস এবং গ্যাসলাইন রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ চলছে।”
মেয়র আরও বলেন, “নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বর্তমানে ১৭টি স্ল্যাবের মধ্যে ৭টি উন্মুক্ত করে পরিষ্কার করা হয়েছে এবং বাকি ১০টির কাজ চলমান। প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে বাকি অংশও শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনাবাহিনী, সিডিএ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন, মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সহযোগিতার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মেয়র জানান, “চসিক ইতোমধ্যে বেশ কিছু খাল পরিষ্কার করেছে এবং ১৫০টি প্রকল্পের আওতায় নালা-নর্দমা পরিষ্কারের কাজও করেছে। ফলে বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশিত হয়েছে। সামনে আরও ২০০টি ছোট প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে এবং চট্টগ্রামের ১৬০০ কিলোমিটার নালা নিয়মিতভাবে পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের পরিকল্পনা রয়েছে।”
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ