চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করা চলবে না। তাছাড়া সৌন্দর্যবর্ধনের নামে নিন্দিত ও অগ্রণযোগ্য কোনো কাজও গ্রাহ্য করা হবে না। ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদ একটি যৌথ পরিবার। এই পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সমন্বিত সহযোগে নগরীকে সকলের বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
সোমবার সকালে আন্দরকিল্লা পুরনো নগর ভবনের কেবি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের দ্বিতীয় সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চসিক মেয়র বলেন, ঠিকাদারদেরকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে কাজের গুণগত মান অক্ষুন্ন রাখা এবং শর্ত পূরণ সাপেক্ষে কাউন্সিলরদের প্রত্যয়নপত্র বিল প্রদানের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় বলে গ্রাহ্য করা হবে।
তিনি বলেন, ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিনের মধ্যে অগ্রধিকার ভিত্তিতে দৃশ্যমান সমস্যা ও নাগরিক দূর্ভোগ লাঘবে যে প্যাচওর্য়াক প্রোগ্রামে চলমান রয়েছে, এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এই প্রোগ্রামে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা, মশক নিধন, আলোকায়ন ও বেহাল সড়ক মেরামত করা। প্যাচওয়ার্ক কার্যক্রম চালাতে গিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যান্ত্রিক সরঞ্জাম, মানসম্মত নির্মাণ সামগ্রী, মশকনিধনের ওষুধের অপ্রতুলতা এবং সক্ষমতার অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। তবুও কাজের অগ্রগতিতে ব্যত্যয় ঘটবে না। অভাব, অপ্রতুলতা ও অক্ষমতার সংকট কাটিয়ে তোলা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, চসিকের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের বর্তমানে বেহাল দশা। প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এ দুটি খাতকে যে মানে পৌঁছে দিয়েছিলেন সেই মানে উন্নীত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে। চসিক পরিচালিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় কাউন্সিলরদের সংশ্লিষ্টতা থাকবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার