ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে দ্রুতগতির বুলেট ট্রেন চলাচল করলে যাত্রীরা ৫৫ মিনিটেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাবেন। হাইস্পিড বা বুলেট ট্রেনের উচ্চগতির এই রেল সেবা চালু হলে যাত্রীসেবার মান আরও একধাপ বৃদ্ধি পাবে। পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম-ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার চিত্রও।
ট্রেনটি চলবে ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার গতিতে। প্রতিদিন এই ট্রেনে ৫০ হাজার যাত্রী বহন করা যাবে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এপ্রিল মাসের মধ্যেই নকশা তৈরির কাজও শেষ হবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেনের প্রস্তাবিত প্রাথমিক রুটম্যাপ অনুযায়ী মোট ছয়টি স্টেশন রয়েছে। এসব স্টেশন হচ্ছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, পাহাড়তলি এবং চট্টগ্রাম। তবে এখানে একটি কমে ৫টি স্টেশন হতে পারে। তাছাড়া ট্রেন চলাচল শুরু হবে ৪০ জোড়া দিয়ে। পরে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী রেলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেনের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. কামরুল আহসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। নকশা তৈরির কাজ চলমান আছে। এপ্রিল মাসের মধ্যেই এটির কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রস্তাবিত প্রায় ৯৭ হাজার কোটি টাকার বুলেট ট্রেন প্রকল্পের মধ্যে ৬টি স্টেশন হওয়ার কথা রয়েছে। তারপরও যাত্রী সুবিধাসহ নানা বিষয় বিবেচনা করে আরও অনেকগুলো সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে বলে জানান তিনি।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী সুবক্তগীন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বুলেট ট্রেন চলাচলের ব্যয় নির্ধারণ করে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য যাবে। অনুমোদন পাওয়ার পরই কাজ শুরু হবে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে ৩২১ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। তবে উচ্চগতির রেলপথটি আগের রেলপথের চেয়ে প্রায় ৯৪ কিলোমিটার কম হবে। এক্ষেত্রে উচ্চগতির রেলপথ দাঁড়াবে ২২৭ কিলোমিটার।
চায়না-বাংলাদেশের যৌথ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশের মজুমদার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন চৌধুরী মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছি। সহসাই নকশা তৈরির কাজ শেষ হবে। তবে বুলেট ট্রেন চালু হলে দেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর