চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সংক্রামক মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়ে চসিক হালিশহরে ইনসিনারেটর প্লান্ট স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে নগরীতে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। এটি একটি পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা। এ কার্যক্রমটি শুলকবহর ওয়ার্ড এ শুরু করা হয়েছে। তারা সুচারুভাবে এই কাজটি করতে পেরেছে। তাই জাইকা এই ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড ঘোষণা করে। একই সঙ্গে পার্কভিউ হাসপাতালে পরিচালিত ট্রেনিং যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে পারায় এ হাসপাতালকে মডেল হাসপাতাল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাছাড়া চসিক কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর আবদুস সাত্তার রাসেলকে দক্ষতার সঙ্গে কাজ পরিচালনা করায় মডেল ইন্সপেক্টর হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। আগামীতে এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সকল ওয়ার্ডে ও হাসপাতাগুলোতে পরিচালিত করা হবে।
বুধবার দুপুরে পাঁচলাইশ পার্কভিউ হাসপাতালে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ৮নং শোলকবহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নুর মোস্তফা টিনু, জাইকার প্রকল্পের টিম লিডার মাসাহিরো সাইতো, পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ.টি.এম রেজাউল করিম, জেনারেল ম্যানেজার তালুকদার জিয়াউর রহমান শোযেব।
মেয়র বলেন, উন্নত বিশ্বের শহরগুলোর ন্যায় ইনসিনারেটর প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে চসিক মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, তা সফল হলে চট্টগ্রাম নগরী একটি স্বাস্থ্যসম্মত নগরী হিসেবে পরিগণিত হবে।
কাউন্সিলর মোরশেদ আলম বলেন, সবার আন্তরিক সহযোগিতায় শুলকবহর ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। এই অর্জন আমার একার নয়, এই অর্জনের সাথে জাইকা, চসিক পরিচ্ছন্ন বিভাগ ও শুলকবহর এলাকাবাসী অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন