চট্টগ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ের দেখা মিলেছে। এক পশলা বৃষ্টিতে গ্রীষ্মের তপ্ত গরমে একটুকু স্বস্থি মিলছে। মাত্র দশ মিনিটের বৃষ্টিতে শীতল পরশ অনুভব করেছে। বুধবার সকাল ১০টায় এ বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া এবং বিদ্যুৎ চমকানোতে বজ্রপাতের আশঙ্কাও দেখা দেয়। টানা কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহের পর প্রথম কালবৈশাখীর দেখা পেল নগরবাসী।
সকালে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ ৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস রয়েছে। এক্ষেত্রে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমতে পারে।
পতেঙ্গার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। এই অবস্থায় চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা আছে। চট্টগ্রামের ওপর বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৫ কিলোমিটার।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা মেঘনাদ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ভোর থেকে বাতাসের গতিবেগ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। সকাল সাড়ে নয়টার পর চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার। কালবৈশাখীর পর চট্টগ্রামে হালকা থেকে মাঝারি আকারের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। তবে দিনের বেলায়ও থেমে থেমে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও শিলা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা আছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম