চট্টগ্রাম কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী আয়ুষী। নগরীর জামালখানে এসেছেন ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজ এর বই বিনিময় উৎসবে একটি হুমায়ুন আহমেদের বই ও দু’টি কবিতার বই বিনিময় করতে। এসেই দেখতে পেয়েছে প্রতিবার বই বিনিময় এর টোকেন বুঝে নেওয়া রেজিস্ট্রেশন বুথ দু’টোর নাম শহীদ ওয়াসিম আকরাম রেজিষ্ট্রেশন বুথ ও শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত রেজিষ্ট্রেশন বুথ। হুমায়ুন আহমেদের বইয়ের ক্যাটেগরিতে গিয়ে দেখতে পেলো সেই স্টলের নামও রাখা হয়েছে শহীদ আহসান হাবীব স্টল, কবিতার ক্যাটেগরির স্টলের নাম রাখা হয়েছে শহীদ ইউসুফের নামে। অন্য পাঠকেরাও বই বিনিময় করতে এসে নির্ধারিত স্টলগুলোতে গিয়ে দেখতে পাচ্ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের নামে নামকরণ করা।
নগরীর জামালখান মোড়ে স্টোরিটেলিং প্ল্যাটফর্ম ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজ এর উদ্যোগে এমন এক অভিনব আয়োজন দেখা গেলো এবার।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় বই বিনিময় উৎসব। উৎসবের উদ্বোধন করেন শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক এম এ মালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন নজরুল ইন্সটিটিউটের পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী।
বই বিনিময় উৎসবের সমন্বয়ক ও ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজের পরিচালক সাইদ খান সাগর বলেন, আমরা চার বছর আগে পাঠক তৈরির মহান উদ্দেশ্যে যে বই বিনিময় উৎসব শুরু করেছিলাম সেটা আমাদের জাতীয় সাংস্কৃতিক জীবনে বৈচিত্র্য ঘটিয়েছে। বইমেলার মতো বই বিনিময় উৎসবের জন্যও পাঠক এখন অপেক্ষা করে থাকেন। বিশেষ করে যারা বই কিনতে চান কিন্তু পারেন না অর্থাভাবে তাদের জন্য বই বিনিময় উৎসব বই পড়া অব্যাহত রাখতে সাহায্য করছে। বই বিনিময় উৎসব এই প্রজন্মের প্রতিক। আর এই প্রজন্মের গর্বের নাম জুলাই অভ্যুত্থান। তাই আমরা এবার ৬ষ্ঠ বই বিনিময় উৎসবকে জুলাইয়ের রঙ্গে সাজিয়েছি। জুলাইয়ের স্বাধিকারবোধ যেন সর্বদা জাগ্রত থাকে।
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের নামে করা স্টলগুলোর ক্যাটেগরি ছিলো যেখানে প্রবন্ধ ও অন্যান্য, হুমায়ুন আহমেদ, কথাসাহিত্য, কবিতা, রাজনীতি, ইতিহাস, বিজ্ঞান, ক্যারিয়ার, শিশুসাহিত্য ও ম্যাগাজিন, একাডেমিক বই স্থান পায়। আয়োজকরা জানান, সব মিলিয়ে অন্তত ৫৫০০ বই ছিলো নানা স্টলে।
বিডি প্রতিদিন/এএম