নারায়ণগঞ্জ গণবিদ্যা নিকেতনের নবম শ্রেণির ছাত্রী হাবিবা আক্তার শ্রাবণীর আত্মহত্যার ঘটনায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তার বাবা মো. হাবিবউল্লাহ। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে সোমবার রাত ৮টায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ওই মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি এম এ মালেক জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে কামরুল হাসান মুন্না ও নাসরিন আক্তারকে অভিযুক্ত করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাবিবউল্লাহ জানান, তার মেয়ে শ্রাবণীকে নকলের কথিত অভিযোগ এনে অপমান, চপেটাঘাত করায় সে অভিমানে আত্মহত্যা করে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বার্ষিক পরীক্ষার অংশ হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উম্মে হাবিবা শ্রাবণী। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অসদুপায় (নকল) অবলম্বনের অভিযোগে পরীক্ষার পরিদর্শক নাসরিন বেগম তাকে আটক করে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষকের কাছে নিয়ে যান। এসময় ওই কক্ষে থাকা স্কুলের খণ্ডকালীন শিক্ষক কামরুল হাসান মুন্না শিক্ষার্থী শ্রাবণীকে চড় থাপ্পড় মারেন এবং গালমন্দ করে পরিবারের কাছে অভিযোগ করবেন বলে জানান। পরে ওই দিনের পরীক্ষা থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এ অপমান সাইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করে শ্রাবণীর পরিবার।
এ ছাড়াও হাবিবা আত্মহত্যার কারণ হিসাবে স্কুলের শিক্ষিকা নাসরিন বেগম ও খণ্ডকালীন শিক্ষক কামরুল হাসান মুন্নার নাম উল্লেখ করে চিরকুট লিখে যায়। পরে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভায় কামরুল হাসান মুন্নাকে সাময়িক বহিষ্কার ও নাসরিন বেগমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ