চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, গরিব ও অসচ্ছলদের ওপর কোনো ট্যাক্স ধার্য করা হবে না। তাদের ওপর কোনো ধরনের চাপও সৃষ্টি করা হবে না। সামর্থ্যবানদের ট্যাক্সের ওপর ভিত্তি করে চসিকের যাবতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার মানসিকতা সকলকে পরিহার করতে হবে। এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরে চসিকের কেবি আবদুস ছাত্তার মিলনায়তনে ১৬তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম, সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজীদা শারমিন প্রমুখ।
সিটি মেয়র বলেন, সরকারি গেজেট, বিধি-বিধান ও আইন-কানুনের মধ্যে থেকে সাধারণ নাগরিকদের কোনো ধরনের হয়রানি বা জুলুম না করে সহনশীল পর্যায়ে কর পুনর্নির্ধারণের (অ্যাসেসমেন্ট) মাধ্যমে গতিশীলতা আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাধ্যবাধকতার মধ্যে থেকে ৫ বছর পর পর কর পুনর্মূল্যায়নের কাজটি অতীতে সঠিকভাবে না করায় নানা ধরনের ঝামেলা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তাছাড়া হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে এক ধরণের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এসব সমস্যা নিরসনে স্থায়ী সমাধান খোঁজা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিগত সময়ে এসেসম্যান্ট করার পর ১৪ হাজার হোল্ডারের আপত্তি নিষ্পত্তি না করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল, যা কাম্য ছিল না। এ কারণে করপুনর্মূল্যায়নের বিষয়টিতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে এটি নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উন্নয়ন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, সরকার থোক বরাদ্দ স্থগিত করে প্রকল্প ভিত্তিক বরাদ্দ দেয়ার কারণে উন্নয়নে গতিশীলতা এসেছে। যদিও এক্ষেত্রে মোট বরাদ্দের উপর ৩০ শতাংশ চসিককে বহন করতে হয়। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে জাইকাসহ নানামুখি প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এ বছর প্রায় ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। নেওয়া হয়েছে আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রিন এ্যাপারেলস জোনসহ অসংখ্য প্রকল্প।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ