শিরোনাম
- শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট আসক্তি ও বই পড়ার আগ্রহ বিষয়ে ফকিরহাটে শুভসংঘের আলোচনা সভা
- স্ন্যাপচ্যাটে নতুন দুই ফিচার চালু
- সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা
- যশোরে কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- বাজারে এলো সাশ্রয়ী মূল্যের ‘আকিজ ড্রিংকিং ওয়াটার’
- ৫ দিনের রিমান্ডে স্বাস্থ্যের ঠিকাদার মিঠু
- লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি
- উখিয়ায় বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু
- যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
- বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
- মোংলায় ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক
- হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে বদলাবে গ্রুপ চ্যাটের ধরণ
- বাংলাদেশি সমর্থকরা শ্রীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে : শানাকা
- গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা, নিহত ছাড়াল ৬৫ হাজার
- বয়স্কদের সুষম খাদ্য
- কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার জেরে আত্মহত্যা, ৯০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ
- কঙ্গোতে ইবোলার নতুন প্রাদুর্ভাব, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
- পুঁজিবাজার: সূচকের ওঠানামায় চলছে লেনদেন
- ট্র্যাপিস্ট-ওয়ানই গ্রহ নিয়ে নতুন আশা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের
- ২০ কোটি বছরের পুরনো কোয়েলাক্যন্থ জীবাশ্ম শনাক্ত
বঙ্গবন্ধু কোনো দল বা গোষ্ঠীর নন, তিনি বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা : পলক
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইসিটি টাওয়ারের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁও-এ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।
আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সাথে শহীদ কর্ণেল জামিলের কন্যা বেগম আফরোজা জামিল কঙ্কা আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ. কে. এম. রহমতুল্লাহ, এমপি এবং সাবেক সচিব ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত পরেই একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুণর্গঠনে যখন বঙ্গবন্ধু হাত দিয়েছিলেন তখন থেকেই তার বিরুদ্ধে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। এসব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করেই তিনি দেশকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ১৯৭৪ সালেই তার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ যোগ দেয় আন্তর্জাতিক টেলিকেমিউনিকেশন ইউনিয়নে (আইটিইউ)। তারই সিদ্ধান্তে বেতবুনিয়ায় স্থাপন করা হয় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর কণ্যা তার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বেগম আফরোজা জামিল কঙ্কা বলেন, দেশের মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছিলে অপার আস্থা। তার ডাকে সাড়া দিয়ে সবাই স্বতস্ফুর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো। আবার তার ডাকেই হামলার খবরে যখন সেনাপ্রধানসহ প্রভাবশালী অনেক কর্মকর্তাই খেই হারিয়ে ফেলেন, তখন নিজের কর্তব্যের ডাকে বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে ছুটে যান তৎকালীন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব আমার বাবা কর্নেল জামিল আহমেদ। বাবা সিভিল ড্রেসেই বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের দিকে রওনা হন। মা একটু ইতস্তত করছিলেন। বাবা বললেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বিপদ, আমাকে যেতেই হবে।’ কিন্তু বাবা যেতে পারেননি, ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসায় পৌঁছানোর আগেই বাবাকে সোবহানবাগ মসজিদের কাছে গুলি করে হত্যা করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এনডিসি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অবদান, বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র দর্শন ও সোনার বাংলা বিনির্মাণে পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করেন। দেশের প্রতি বর্তমান প্রজন্মের দায়বদ্ধতার কথা তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।
আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর