বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- শার্শা আসনে বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তি
- আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- চট্টগ্রামের ১০টি আসনে নতুন মুখ ৫ জন
- জানাজা থেকে গৃহবধূর লাশ গেল মর্গে, পালালেন স্বামী-শ্বশুর
- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী
- আমেরিকা থেকে এলো গমবোঝাই জাহাজ
- এক নজরে বিএনপি প্রার্থীদের তালিকা
- চট্টগ্রাম সমিতি ঢাকা’র নির্বাচন ৫ ডিসেম্বর
- কেদারপুরে যুব সমাজের স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক মেরামত
- মনোনয়ন পেলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ
- টঙ্গীতে বিএনপির বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
- জামায়াত আমিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফিকুল ইসলাম
- সিরাজগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা
- টাঙ্গাইলে গ্রামীণ রাস্তায় জনদুর্ভোগ, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও পাকাকরণ হয়নি
- কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান
- নেত্রকোনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর
- সিলেট-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ইলিয়াসপত্নী লুনা
- তৃণমূলে ফিরলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী ব্যানার্জি
- বগুড়া-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান
- নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া
সারারাত কাঁদে শিশুকন্যা, জেগে থাকেন বাবা-মা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন
মেয়েটির বয়স তিন বছর। নাম নূর মহল। সে সারারাত জেগে থাকে আর কাঁদে। খাওয়ানো হলে বমি করে। একমাত্র সন্তানের এমন অবস্থায় সারারাত জেগে থাকতে হয় মা-বাবাকে। তারা চিকিৎসাও করিয়েছেন অনেক। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এ অবস্থায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
শিশু নূর মহল রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ি মহল্লার নুরুজ্জামান কাজলের মেয়ে। নুরুজ্জামান ব্যবসায়ী। গোদাগাড়ী পৌর যুবলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক। মেয়ের চিকিৎসায় এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করেছেন তিনি। এখন নিঃস্ব।
এ অবস্থায় নুরুজ্জামান মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাহায্য কামনা করেছেন।
নুরুজ্জামান জানান, তার মেয়ে দাঁড়াতে পারে না। সারাক্ষণ শুয়ে থাকে। বিশেষ একটি চেয়ারে তাকে বসিয়ে রাখতে হয়। দিনে মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমায়। সারারাত জেগে থাকে। কান্নাকাটি করে। তাই স্ত্রীসহ তাকেও জেগে থাকতে হয়। মেয়েটিকে কিছু খাওয়ানো হলেই বমি করে। অনেক চিকিৎসা করিয়েছেন। ভারতেও নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকরা তার রোগই সনাক্ত করতে পারেনি।
তিনি জানান, জন্মের সময় মেয়েটি কাঁদেনি। চিকিৎসার পর কাঁদতে শিখেছে। কিন্তু এখন সারারাত কান্না থামে না। মেয়ের এসব সমস্যার জন্য তিনি তাকে রাজশাহীর স্থানীয় প্রায় সব শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে গিয়েছেন। তারা রোগ ধরতে পারেননি। শেষে ভারতে নিয়ে যান। কলকাতার মল্লিকবাজার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের ডা. ডিপেসু দাস মেয়েটির চিকিৎসা করেন। কিন্তু শিশু নূর মহলের কোনো উন্নতি হয়নি। বরং দিনকে দিন তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হচ্ছে।
মেয়েটির বাবা বলেন, মেয়েকে নিয়ে সারারাত জেগে জেগে কাটাতে হয়। আমার স্ত্রীও এই কষ্টটা করছে। প্রতিটা দিন যে আমাদের কী কষ্টে কাটে সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমি সামান্য ছোট একটা ব্যবসা করি। কিন্তু তারপরেও একমাত্র সন্তানের চিকিৎসায় অন্তত ১০ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন আমি নিঃস্ব। আমার মেয়ের কোনো উন্নতি হয়নি। তাই এখন আমার ভরসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অনেক অসহায় মানুষের পাশেই দাঁড়ান। আমার মেয়ের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে সে স্বাভাবিক জীবন পাবে। নুরুজ্জামান তার মেয়ের জন্য সবার কাছে দোয়াও চান।
এই বিভাগের আরও খবর