বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তার ভিত্তি : পরিবেশ উপদেষ্টা
- রংপুরে সঙ্গীতশিল্পী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের যুগপূর্তি উৎসব
- নাচোলে ভ্যানচালককে অচেতন করে হত্যা, গ্রেফতার ৩
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের কর্মসূচি ঘোষণা
- সাগরে লঘুচাপের শঙ্কা, তিন বিভাগে ভারী বর্ষণের আভাস
- ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা ঘোষণা
- বাগেরহাটে ট্রলারের ধাক্কায় পুল ভেঙ্গে সবজি ব্যবসায়ীর মৃত্যু
- ডেঙ্গুতে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের নারী কর্মকর্তার মৃত্যু
- আগস্টেই রাজধানীতে নামছে ই-রিকশা
- আজমান বাংলাদেশ সমিতিতে কনস্যুলেট সেবা উদ্বোধন
- আমার বিশ্বাস সিরিজ জিতব, শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনার আগে তাসকিন
- ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে হুমকির আশঙ্কা, হোটেলে বন্দি ছিলেন রোহিতরা!
- কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ নিহত ২
- ইমামদের জাতীয় সম্মেলন ২৯ জুন
- দাপ্তরিক কাজে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করল বিমান
- হাসিনা ছিল কুৎসিত স্বৈরাচার, হিটলারকেও হার মানিয়েছিল : মান্না
- অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প অনুমোদন থেকে বিরত থাকার আহ্বান সালেহউদ্দিন আহমেদের
- গবাদি পশুর রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- এনবিআরে অচলাবস্থা : বড় ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা
সারারাত কাঁদে শিশুকন্যা, জেগে থাকেন বাবা-মা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

মেয়েটির বয়স তিন বছর। নাম নূর মহল। সে সারারাত জেগে থাকে আর কাঁদে। খাওয়ানো হলে বমি করে। একমাত্র সন্তানের এমন অবস্থায় সারারাত জেগে থাকতে হয় মা-বাবাকে। তারা চিকিৎসাও করিয়েছেন অনেক। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এ অবস্থায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
শিশু নূর মহল রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ি মহল্লার নুরুজ্জামান কাজলের মেয়ে। নুরুজ্জামান ব্যবসায়ী। গোদাগাড়ী পৌর যুবলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক। মেয়ের চিকিৎসায় এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করেছেন তিনি। এখন নিঃস্ব।
এ অবস্থায় নুরুজ্জামান মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাহায্য কামনা করেছেন।
নুরুজ্জামান জানান, তার মেয়ে দাঁড়াতে পারে না। সারাক্ষণ শুয়ে থাকে। বিশেষ একটি চেয়ারে তাকে বসিয়ে রাখতে হয়। দিনে মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমায়। সারারাত জেগে থাকে। কান্নাকাটি করে। তাই স্ত্রীসহ তাকেও জেগে থাকতে হয়। মেয়েটিকে কিছু খাওয়ানো হলেই বমি করে। অনেক চিকিৎসা করিয়েছেন। ভারতেও নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকরা তার রোগই সনাক্ত করতে পারেনি।
তিনি জানান, জন্মের সময় মেয়েটি কাঁদেনি। চিকিৎসার পর কাঁদতে শিখেছে। কিন্তু এখন সারারাত কান্না থামে না। মেয়ের এসব সমস্যার জন্য তিনি তাকে রাজশাহীর স্থানীয় প্রায় সব শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে গিয়েছেন। তারা রোগ ধরতে পারেননি। শেষে ভারতে নিয়ে যান। কলকাতার মল্লিকবাজার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের ডা. ডিপেসু দাস মেয়েটির চিকিৎসা করেন। কিন্তু শিশু নূর মহলের কোনো উন্নতি হয়নি। বরং দিনকে দিন তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হচ্ছে।
মেয়েটির বাবা বলেন, মেয়েকে নিয়ে সারারাত জেগে জেগে কাটাতে হয়। আমার স্ত্রীও এই কষ্টটা করছে। প্রতিটা দিন যে আমাদের কী কষ্টে কাটে সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমি সামান্য ছোট একটা ব্যবসা করি। কিন্তু তারপরেও একমাত্র সন্তানের চিকিৎসায় অন্তত ১০ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন আমি নিঃস্ব। আমার মেয়ের কোনো উন্নতি হয়নি। তাই এখন আমার ভরসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অনেক অসহায় মানুষের পাশেই দাঁড়ান। আমার মেয়ের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে সে স্বাভাবিক জীবন পাবে। নুরুজ্জামান তার মেয়ের জন্য সবার কাছে দোয়াও চান।
এই বিভাগের আরও খবর