অনলাইন ক্যাসিনোর মূলহোতা ও কান্ট্রি হেড সেলিম প্রধান নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলেও এতদিন কেউ ভয়ে মুখতে পারেননি। সোমবার দুপুরে থাই এয়ারওয়েজের ব্যাংককগামী একটি ফ্লাইট থেকে তাকে আটক করা হলে এখন সেইসব অপকর্মের বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন নারায়ণগঞ্জের ভুলতার সেলিমের প্রধানের গ্রামের বাড়ির লোকজন।
র্যাব বলছে, অনলাইনভিত্তিক ক্যাসিনোর মূল গডফাদার হলো সেলিম প্রধান। থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের অনলাইনের মাধ্যমে ক্যাসিনো ব্যবসা চালাতেন। অনলাইনে কয়েন বিক্রি করে এই ক্যাসিনো চালানো হতো। মানি লন্ডারিং করে হাতিয়ে নিয়েছেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। থাইল্যান্ডের পাতায়াতেও রয়েছে তার ক্যাসিনো ব্যবসা।
জানা গেছে, প্রধানগ্রুপ ডট কম নামের একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়ছে, সেলিম প্রধানের লাইভ ক্যাসিনো মার্কেট পি২৪ লিমিটেড নামের গেমিং কোম্পানি ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা করা হয়।
আরও জানা গেছে, শুধু অনলাইনে ক্যাসিনো চালানো নয়, নিজ এলাকায় সরকারি জমি দখল, রাজশাহীতে গরুর খাটাল থেকে চাঁদা আদায়, সিলেটে ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর চোরাচালানসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত সেলিম প্রধান। সেইসব অপকর্মের ফিরিস্তি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর হাতে।
র্যাব আইন ও গণমাধ্যম শাখা পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, 'চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যারা ভুক্তভোগী তারা যদি আমাদের কাছে আসে তাহলে সুনিশ্চিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।'
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী গণমাধ্যমকে জানায়, ১৪ বছর বয়সে বড় ভাইয়ের মাধ্যমে জাপানে যান সেলিম। সেখান থেকে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া ঘুরে পাকা হয় তার ক্যাসিনো ব্যবসার হাত। যৌথ বিনিযোগের কথা বলে জাপানি এক নাগরিকের মোটা অংকের টাকা মেরে দিয়ে চলে আসেন দেশে। এই সময়ই শুরু করেন মানি লন্ডারিংয়ের কাজ। পরিচয় হয় বিতর্কিত ব্যববসায়ী গিয়াস আল মামুনের সঙ্গে। এছাড়া আরও কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গেও সখ্য ছিল তার।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম