মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের রাজাকার তালিকা স্থগিত নয়, প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গেজেটভূক্ত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বরিশাল জেলা বাসদ সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেছেন, ওই তালিকা প্রকাশের দায়-দায়িত্ব মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীকেই নিতে হবে। একই সাথে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের রাজাকার তালিকাভূক্তির দায় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বরিশাল নগরীর ফকির বাড়ি রোডে বাসদ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. মনিষা বলেন, রাজাকার তালিকা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী এবং স্বরাষ্টমন্ত্রীর পরস্পরের দোষারোপের বক্তব্য দুই মন্ত্রণালয়েরই অযোগ্যতা এবং অদক্ষতার বিষয়টি স্পস্টভাবে ফুটে উঠেছে। এর দায় প্রধানত মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীকেই নিতে হবে এবং অবশ্যই তার পদত্যাগ করতে হবে।
এদিকে এই তালিকা প্রণয়নের জন্য বরাদ্দ হওয়া ৬০ কোটি টাকার হিসাব জনগণের সামনে উপস্থাপনের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মনিষা। তিনি বলেন, দুই মন্ত্রীই বলেছেন, এই তালিকা প্রণয়নে দুই মন্ত্রণালয়ে শুধু পেনড্রাইভ চালাচালি এবং একটা প্রিন্ট আউট হয়েছে। বরাদ্দের ৬০ কোটি টাকা কোথায় কীভাবে খরচ হলো তা জাতির সামনে উপস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
একই সাথে নতুন করে যদি আমলা নির্ভর বা দলীয় তথ্য নির্ভর হয়ে একটি ঘরে বসে রাজাকার তালিকা করা হয় তাহলে আবারও বিতর্ক সৃষ্টির আশঙ্কা করেন ডা. মনিষা। তাই জীবিত মুক্তিযোদ্ধা এবং স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে একটি কমিশন গঠনের মাধ্যমে রাজাকারের নতুন তালিকা প্রকাশের দাবি জানান গেজেটভূক্ত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রগতিশীল রাজনীতিক ডা. মনিষা চক্রবর্তী।
এ সময় জেলা বাসদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমনসহ বাসদের বিভিন্ন স্থরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা