৩১ জুলাই, ২০২০ ২১:৪৩

সিদ্ধিরগঞ্জে কোরবানির পশুর হাটগুলো পশুশূন্য, বিপাকে ক্রেতারা

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিদ্ধিরগঞ্জে কোরবানির পশুর হাটগুলো পশুশূন্য, বিপাকে ক্রেতারা

সিদ্ধিরগঞ্জের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে গরু নেই। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার(৩০ জুলাই) বিকেল থেকে হাটগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে থাকলেও পশুর সংখ্যা ছিল খুবই কম। ফলে বেপারীরাও চড়া দাম হাঁকাচ্ছিলেন।

সিদ্ধিরগঞ্জে এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কতৃক ৫টি পশুর হাটের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। উক্ত স্থানগুলো হলো- নাসিক ৫ নম্বর ওয়ার্ড ওমরপুরের সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার রোডের পাশে জালাল উদ্দিন আহম্মেদের খালি জায়গা, ৬ নম্বর ওয়ার্ড এসও রোড (মেঘনা রোড) বটতলা চৌরাস্তা বালুর মাঠ, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোদনাইল ইব্রাহিম টেক্সটাইল মিলস মাঠ, ৯ নম্বর ওয়ার্ড ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পশ্চিম পার্শ্বের জালকুড়ি টিসি রোড সংলগ্ন খালি জায়গা, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষ্মীনারায়ণ মিলস সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের খালি জায়গা।
 
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, হাটে পশু সংখ্যা খুবই কম।অন্যান্যবারের তুলনায় সিদ্ধিরগঞ্জে এবার কোরবানির পশুর  হাট সংখ্যা কম হওয়ায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত। হাটে পশু কম কেন জানতে চাইলে নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডের বটতলা বালুর মাঠের ইজারাদার আতাউর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে পশুর সংখ্যার চেয়ে  ক্রেতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে। তাছাড়াও বন্যার কারণে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিক্রেতারা আসতে না পারায় হাটে পশু কম আছে বলে জানান তিনি। 

সিদ্ধিরগঞ্জে গোদনাইল ইব্রাহিম  টেক্সটাইল মিল মাঠে গিয়ে গিয়ে দেখা যায়, হাতে গোনা কয়েকটি গরু আছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বেপারীরা চড়া দাম হাঁকাচ্ছেন। সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার রোডের পাশের কোরবানির পশুর হাট এখন ফাঁকা। ফলে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। 

হীরাঝিল আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ফসিউদ্দীন কাইয়ুম শাকিল বলেন, গতকাল এখানকার (সিদ্ধিরগঞ্জ) সবগুলো হাটে গিয়েছি। হাটে গরু কম থাকায় বেপারীরা প্রচুর দাম চায়। পরে শনির আখড়া থেকে ৭০-৮০ হাজার টাকার গরু ১ লাখ ৫ হাজার টাকায় কিনে আনছি।

নাসিক ১০ নং ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণ মিলস্ সংলগ্ন পশুর হাটে প্রচুর জনসমাগম দেখা যায়। কোরবানির পশু এখন পর্যন্ত না কিনতে পেরে অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করেছেন। 

সিদ্ধিরগঞ্জ পাইনাদী ধনুহাজী রোড এলাকার বাসিন্দা কামরুল হাসান  বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আমাদের এলাকার আশেপাশের সব হাটে গিয়েছি। ঢাকার কয়েকটি পশুর হাটেও গিয়েছি। কিন্তু এখনও (শুক্রবার দুপুর) গরু কিনতে পারিনি। বাধ্য হয়ে আমার ছোট ভাই মনিরুজ্জামান সোহেল নরসিংদী থেকে গরু কিনে আনেন পিকআপ যোগে।

মিজমিজির বাসিন্দা মফিজুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকার আশেপাশের হাটগুলোতে গরু কম থাকায় বেপারীরা অনেক  দাম চাচ্ছেন। যা নাকি আমার সামর্থ্যের বাহিরে। আমি এখনো গরু কিনতে পারিনি।

 

বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর