বরিশাল নগরীর ভিআইপি রোড হিসেবে পরিচিত ‘রাজাবাহাদুর সড়কের’ বেহাল দশা। বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের বাসভবন এই সড়কের পাশে। তারা চলাচল করেন এই সড়ক দিয়ে। এছাড়াও সাধারণ জনগণও ব্যবহার করেন সড়কটি। কিন্তু এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ভরে গেছে খানা খন্দে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের।
আলোচিত সড়কটি বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের নিয়ন্ত্রনাধীন। নগরীর পুলিশ লাইন থেকে জেলা প্রশাসকের বাসভবন হয়ে চাঁদমারী পর্যন্ত এবং জেলা প্রশাসকের বাসভবন থেকে মহিলা ক্লাব পর্যন্ত সড়কটি মোট দৈর্ঘ্য ০.৮৫ কিলোমিটার।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জেরাল্ড অলিভার গুদা বলেন, 'সড়কটি গণপূর্ত বিভাগের নিয়ন্ত্রনাধীন। তহবিল বরাদ্দ না থাকায় দীর্ঘদিনও সড়কটি সংস্কার করা যায়নি। খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় বছর দুয়েক আগে সিটি করপোরশেন সড়কটি সংস্কার করে।'
সংস্কার না করায় ভিআইপি সড়কটির একাংশ একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে, জেলা জজের সরকারি বাসভবন থেকে সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সরকারি বাসভবন পর্যন্ত সড়কটি বড় বড় খানাখন্দে ভরে গেছে। বৃষ্টির সময় পানি জমে ছোট ছোট ডোবার আকৃতি হয় ওই সড়কে। এতে প্রতিদিনই কাত হয়ে পড়ছে রিক্সা, অটোরিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহন। ভাঙ্গা ওই সড়কে চলাচলকারী মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।
ওই সড়কে চলাচলকারী বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল বলেন, রাস্তা খারাপ হলে ভোগান্তি তো হবেই। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু সরকারি কর্মকর্তারা নয়, মানুষের ওই সড়কে চলাচল করতে যাতে দুর্ভোগে পড়তে না হয়, তারা যাতে নিরাপদে চলাচল করতে পারে সেটা হলো আসল বিষয়। তিনি ওই সড়কটি সংস্কারের জন্য গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলবেন বলে জানান।
ওই সড়কের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসকের অনুরোধে ওই সড়টির কিছু খানাখন্দ দুই বছর আগে মেরামত করা হয়েছিলো। এখন আবারও সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়ক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে সড়ক বিভাগ গণপূর্ত বিভাগের সড়কের খানাখন্দ মেরামতের কাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির