২ এপ্রিল, ২০২৩ ১৫:১৭

রংপুরে বেড়েছে শাক সবজি-সরিষা-ধনেপাতা চাষ, কমেছে ডাল-সূর্যমুখী

নজরুল মৃধা, রংপুর

রংপুরে বেড়েছে শাক সবজি-সরিষা-ধনেপাতা চাষ, কমেছে ডাল-সূর্যমুখী

রংপুর অঞ্চলে চলতি মৌসুমে শাক সবজি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছু বেশি আবাদ হয়েছে। এছাড়া ধনেপাতা, সরিষার আবাদও বেড়েছে। তবে কালজিরা, ডাল জাতীয় ফসলের আবাদ কমেছে। 

রংপুর কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় শাক সবজির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশি আবাদ হয়েছে। ৪০ হাজার ৪৭০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সেখানে অর্জিত হয়েছে ৪০ হাজার ৬৬৮ হেক্টর। তবে সরিষার আবাদ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। গত বছর ৩৯ হাজার ২৯০ হেক্টরে আবাদ হলেও এবারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০ হাজার ২৯০ হেক্টর। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৫২ হাজার ৫৫২ হেক্টরে। ধনিয়াপাতার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৯০ হেক্টরে তা বৃদ্ধি ফেয়ে ১ হাজার ৩৩ হেক্টরে আবাদ হয়েছে। 

কালোজিরা ১১৬ হেক্টরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ৮১ হেক্টরে। মসুরের ডাল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম জমিতে আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার২৫৮ হেক্টরে। সেখানে আবাদ হয়েছে এক হাজার ৫৮ হেক্টর। তবে গত মৌসুমে মসুরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৬৩১ হেক্টর। সেখানে আবাদ হয়েছিল ১ হাজার ২১৯ হেক্টরে। গত বছরের চেয়ে মসুরের আবাদ কমেছে ১৬১ হেক্টর কম জমিতে। 

গত বছর খেসারির ডাল ১ হাজার ৭৯৯ হেক্টরে লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৫৯১ হেক্টরে। এবার লক্ষ্য মাত্রাও কমেছে আবাদও কমেছে। এবারের খেসারির লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৬৩০ হেক্টর আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর। গত বছর মুগডালের আবাদ আবাদ হয়েচে ২৭৩ হেক্টরে। এবার লক্ষ্যমাত্র ২৯৩ হেক্টরে থাকলেও আবাদ হয়েছে২২১ হেক্টরে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় সূর্যমুখীর আবাদ অনেক কমেছে। ৫৫০ হেক্টরের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ৯৫ হেক্টরে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের বুড়িহাট হটিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু সায়েম বলেন, সরকার এসব ফসলে ভতুর্কি ও প্রণোদনা দেয়ায় কৃষকরা উৎসাহিত হয়েছে। ফলে কোন কোন ফসল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া ফসলের চাহিদা ও বাজারে উচ্চমূল্য থাকায় কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর