২৯টি কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও রংপুরের বাজারে তা কার্যকর হচ্ছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষসহ বিভিন্ন দপ্তর অভিযান চালালেও নির্ধারিত মূল্যে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তবে দুই একটি শাক-সবজির দাম নির্ধারিত মূল্যের কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
রংপুর নগরীর সিটি বাজার, কামাল কাছনা বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, খুচরা পর্যায়ে গরুর মাংস কেজিতে ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ৩ টাকা ৫৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বাজারের ৭২০ থেকে সাড়ে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত গরুর মাংষ বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকার ওপরে। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ করা হলেও তা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। ডিম প্রতি পিস ১০ টাকা ৪৯ পয়সা, দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৬৫ টাকা ৪০ পয়সা, রসুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা ৮১ পয়সা, আমদানি করা আদা প্রতিকেজি ১৮০ টাকা ২০ পয়সা, শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ৩২৭ টাকা ৩৪ পয়সা, কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ৬০ টাকা ২০ পয়সা, বাঁধাকপি কেজিপ্রতি ২৮ টাকা ৩০ পয়সা, ফুলকপি কেজিপ্রতি ২৯ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব পণ্যের প্রতিটিই বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাঁধাকপি ও ফুলকপি নির্ধারিত দামের চেয়ে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেগুন ৪৯ টাকা ৭৫ পয়সা, শিম ৪৮ টাকা, আলু ২৮ টাকা ৫৫ পয়সা, টমেটো ৪০ টাকা ২০ পয়সা, মিষ্টি কুমড়া ২৩ টাকা ৩৮ পয়সা রির্ধারিত মূল্যের কাছাকাছি রয়েছে।
এছাড়া জাহিদি খেজুর ১৮৫ টাকা ৭ পয়সা, চিড়া (মোটা) ৬০ টাকা, প্রতিহালি সাগর কলা ২৯ টাকা ৭৮ পয়সা ও বেসন ১২১ টাকা ৩০ পয়সা দাম বেঁধে দেওয়া হলেও এসব পণ্য বেশিদামে বিক্রি হচ্ছে।
রেংপুর মেট্রোপলিটন মেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন বলেন, কিছু কিছু পণ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি করলে ব্যবসায়ীদের লোকসান হবে। তবে কয়েকটি শাক-সবজি বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল