বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সংসদ সদস্য ও গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টুকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তৃতীয় দফা জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। এর আগে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁর মৃতদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠককে প্রদান করা হয় গার্ড অব অনার। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মোস্তফা মহসিন মন্টু ছিলেন একজন গণতান্ত্রিক নেতা। গণতান্ত্রিক নীতির সঙ্গে তিনি কখনো আপস করেননি। এজন্যই একসময় আওয়ামী লীগ ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন।
গত রবিবার বিকাল ৫টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মোস্তফা মহসিন মন্টু। সত্তরের দশকে ছাত্ররাজনীতি ও আশির দশকে যুবরাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৭ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোস্তফা মহসিন মন্টু। গত বছর তিনি গণফোরামের সভাপতি নির্বাচিত হন।