ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পলিকল্পনা করছে পর্তুগাল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রোর কার্যালয় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েল তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়,পর্তুগিজ সরকার সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট এবং সংসদের সঙ্গে পরামর্শ করবে। আগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং কানাডার পরিকল্পনার পর, পর্তুগাল হল সর্বশেষ পশ্চিমা শক্তি যারা ফিলিস্তিনি সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আলোচনা করছে।
পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটি ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে, যা সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে
অনুষ্ঠেয় ৮০তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ-স্তরের সপ্তাহে সম্পন্ন হতে পারে এমন একটি প্রক্রিয়ার অংশ।’
এর আগে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক কার্নি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় মানুষের দুর্দশা অসহনীয়। দ্রুত এর অবনতি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কানাডার। তবে এই স্বীকৃতি কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে বলে উল্লেখ করেন কানাডার প্রেসিডেন্ট। সেগুলো হলো ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে নিজেদের শাসনব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনার, হামাসকে বাদ দিয়ে ২০২৬ সালে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করার এবং এ ভূখণ্ডকে নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
তার আগে, কয়েক দিন আগে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। পরে ইসরাইল কিছু শর্ত না মানলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যদেশের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ১৫০টি দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
বিডি প্রতিদিন/নাজিম