বরিশাল সদর উপজেলার কাশীপুরে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা লিটন সিকদার লিটুকে (৪২) পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যায় মুখার্জিবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের বোন মুন্নী (৩৮) ও ছোট ভাই সুমন সিকদারকেও (৩৫) গুরুতর আহত করা হয়। মুন্নী জানান, একই গ্রামের বাসিন্দা তাঁর স্বামী জাকির হোসেন গাজী গোপনে আরেকটি বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে পারিবারিক বিরোধ হয়। সম্প্রতি এ নিয়ে তিনি ও তাঁর স্বামী পাল্টাপাল্টি মামলা করেন। মামলার আসামি হিসেবে গতকাল আদালত থেকে জামিন নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাড়ি আসেন তাঁর ভাই লিটু।
তখন একদল লোক তাঁদের ওপর হামলা চালায়, ঘর ভাঙচুর করে ও আগুন দেয়। এ সময় তাঁর ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। তাঁদেরও কুপিয়ে-পিটিয়ে আহত করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন হাসান বলেন, ‘বহিষ্কৃত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা লিটু এলাকায় চাঁদাবাজি করতেন। তাঁর জ্বালায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এ ছাড়া কয়েক দিন আগে তাঁর ভগ্নীপতি জাকির হোসেনকে মারধর করে ইলেকট্রিক শক দেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালে পুলিশ নিয়ে লিটু বাড়ি আসেন। তখন স্থানীয়রা বিক্ষোভ করলে পুলিশ চলে যায়। পরে স্থানীয়রা লিটুকে গণধোলাই দেয়। দুই ঘণ্টা পর পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে রওনা দিলে গ্রামবাসী পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মেরে ফেলে।’
এ বিষয়ে মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির শিকদার বলেন, পারিবারিক বিরোধে স্বামী ও স্ত্রী থানায় মামলা করেন। এর জেরে গতকাল তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন। দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে।