বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, অতি দ্রুত আমরা যাতে ডেমোক্রেটিক ট্রান্সফরমেশনে যেতে পারি; সে রকম কার্যক্রম আপনারা নেবেন। সেই হিসেবে লন্ডনের আলোচনার সূত্র ধরে যে সিদ্ধান্তটা হয়েছে, সেটা শিগগিরই ইলেকশন কমিশনে যথাযথ প্রক্রিয়া কমিউনিকেট করবেন বলে আশা করি।’ তিনি বলেন, লন্ডন বৈঠকে কারও দায়মুক্তির প্রসঙ্গ ছিল না।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কল্যাণ রাষ্ট্রের ভাবনায় জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়েছে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে। সংবিধান যেহেতু চালু আছে, সংবিধান অনুসারে এ সরকার চলছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আপনাদের রেটিফিকেশন (অনুমোদন) লাগবে পরবর্তী সংসদে। এটাও আপনারা মাথায় রাখবেন এবং রেটিফিকেশন লাগলে এর লেজিটিমেসি (বৈধতা) কীভাবে দেওয়া হবে, কোন জায়গায় দেওয়া হবে, সেটিও আমরা বিবেচনা করব। সুতরাং গণতন্ত্রের পক্ষে, জনগণের পক্ষে, অতি দ্রুত যাতে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে যেতে পারি, সেরকম কার্যক্রম আপনারা নেবেন।’ এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ১০ মাস যথেষ্ট সময় একটা বাজেট প্রণয়নের জন্য। নির্বাচিত সরকার ১২ মাস কাজ করে না বাজেট প্রণয়নে। বাজেটের তিন থেকে চার মাস আগে থেকে মনোযোগ দেয়। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেটটি একটি গতানুগতিক বাজেট।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজেটে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত যদি রাজনৈতিক দলের দিক থেকে না এসে আমলাতান্ত্রিক পর্যায় থেকে আসে, তা কখনো জনগণের পক্ষের বাজেট হয় না। সংসদে বসে যে সিদ্ধান্ত রাজনীতিবিদরা নেন, তার প্রতিটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্রিটিশরা দীর্ঘ সময়ের শাসনামলে এ দেশে যে পরিমাণ লুটপাট করেছে, গত ১৬ বছরে ব্রিটিশদের থেকেও বেশি লুটপাট করেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা রেজিম।