জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দিতে যাত্রীবাহী বাসে কলেজছাত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেছে চালক ও তার সহকারী। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা বাসচালক সাব্বির মিয়াকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করে। পরে সেনাবাহিনী তাকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। তবে বাসচালকের সহকারী লিটন মিয়া পালিয়ে যায়। রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার বড় বাজার এলাকার বাসিন্দা এবং ঢাকার একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী ঢাকার ফার্মগেট থেকে ‘বিলাশ পরিবহন’ নামের বাসে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও ওই ছাত্রী ঘুমিয়ে পড়ায় বাসটি সিলেট পর্যন্ত চলে যায়। সিলেটে ঘুম ভেঙে তিনি নবীগঞ্জ হয়ে বানিয়াচং যাওয়ার জন্য ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের অপর একটি বাসে ওঠেন। শেরপুরে অন্যান্য যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর বাসে তিনি একা থাকলে চালক সাব্বির ও তার সহকারী লিটন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে আউশকান্দিতে ভুক্তভোগী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে জনতা বাসচালক সাব্বিরকে আটক করে সোপর্দ করেন। তবে চালকের সহকারী লিটন মিয়া পালিয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ ভিকটিম কলেজছাত্রী ও ধর্ষক বাসচালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, কলেজছাত্রীকে ধর্র্ষণের অভিযোগে বাসচালককে জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। হেলপার লিটন পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।