ঈদুল আজহা সামনে রেখে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাটে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পশুবাহী ট্রাক চট্টগ্রামে আসার সময় পথে পথে শিকার হচ্ছে চাঁদাবাজির। ফলে চট্টগ্রামে আসতেই ট্রাকপ্রতি খরচ হচ্ছে অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা। তবে পুলিশ প্রশাসনের দাবি, পথে পথে চাঁদাবাজি ও পশুর হাটের খুঁটি বাণিজ্য রোধে নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিএমপির উপকমিশনার (সদর) শ্যামলকান্তি নাথ বলেন, ‘পশুর বাজারে চাঁদাবাজি ও খুঁটি বাণিজ্য রোধে নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পশুর বাজারে যে-ই চাঁদাবাজির চেষ্টা করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মহাসড়কগুলোয় টহল বাড়ানো হয়েছে। পশুর হাটের শৃঙ্খলার জন্য সব থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ কয়েকজন গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে পশু পরিবহন করতে পথে পথে দিতে হচ্ছে চাঁদা। রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবহন নেতা ও পুলিশের নামে করা হচ্ছে চাঁদাবাজি। প্রতিটি ট্রাককে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয় ঘাটে ঘাটে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিডিএ সাগরিকা পশুর বাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্রশাসন পথে পথে চাঁদাবাজি বন্ধের কথা বললেও এখনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী থেকে পশু আনতে ট্রাকপ্রতি অতিরিক্ত খরচ হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এ টাকাগুলো বাধ্য হয়েই ক্রেতাদের কাছ থেকে নিতে হয়। পথে পথে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে আরও কম দামে পশু বিক্রি সম্ভব হবে।’