বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

শাওন খুনের অভিযোগে দুজন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাওন নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার রাতে মাদারীপুর ও যাত্রাবাড়ী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। তারা হলেন- মূল পরিকল্পনাকরী মিজানুর রহমান ওরফে মিজান বেপারী (৩২) ও তার সহযোগী জুয়েল ওরফে ফুটবল জুয়েল।

গতকাল সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, শাওন ও অভিযুক্ত মিজান যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগ এলাকায় দুটি গ্রুপ চালাতেন। এলাকায় দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেফতার মিজানুর রহমান। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত আড়াইটায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শাওনকে হত্যা করা হয়। আলোচিত ওই ঘটনায় শাওনের ভাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শাওন দীর্ঘদিন ধরে পরিবারসহ যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগ এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি টিকাটুলীর একটি ট্র্যাভেল এজেন্সিতে চাকরি করতেন। গত বছরের মাঝামাঝি মীরহাজিরবাগ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাওনের সঙ্গে রজব নামের এক ব্যক্তির বাগবিতন্ডা হয়। পূর্ব শত্রুতার জেরে গত মাসে শাওন এবং রজবের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। বিষয়টি রজব তার বড় ভাই মিজানকে জানান। পরে মিজান শাওনকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার পরিকল্পনা করেন এবং সুযোগ খুঁজতে থাকেন। ঘটনার দিন রাতে শাওন তার স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনতে বাসা থেকে বের হন। এ সময় আগে থেকে ওতপেতে থাকা মিজান মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি অবস্থান করছিলেন। রজব অতর্কিত শাওনকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। এ সময় জুয়েল রাস্তার মোড়ে পাহারার দায়িত্ব পালন করেন। যেন হঠাৎ করে কোনো পথচারী ঘটনাস্থলের দিকে না আসে। গুরুতর জখম হয়ে শাওন জীবন বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করলে আসামিরা তাকে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মিজান যাত্রাবাড়ীর একজন চিহ্নিত অপরাধী। তার নামে যাত্রাবাড়ী ও মীরহাজিরবাগ এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সময় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি ও মারামারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার পর তিনি শ্যামপুর এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করেন। পরে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার হন। তার নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর