বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ বলেছেন, আমাদের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। জুলাইয়ে যে বিপ্লব হয়েছে, সেই বিপ্লব সফল হবে সেদিন, যেদিন জনগণের সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন। তখনই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। যে গণতন্ত্রের জন্য বিএনপির সৈনিকরা ১৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। গতকাল বিকালে আন্তজার্তিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপির বিভাগীয় শোভাযাত্রা আগে কালেক্টরেট মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা দৃঢ় অবিচলভাবে অপেক্ষা করুন, আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন সবাইকে শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকার জন্য। বিএনপি শহীদ জিয়ার দল হিসেবে এমন কোনো কাজ করব না, যাতে করে বিএনপির মুখে কালিমা লিপ্ত হয়। আপনারা নিজেরা সাবধান থাকবেন, দুবৃত্তরা অপকর্ম করে বিএনপির নাম ভাঙাতে চাইবে। আমরা সাবধান থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, বিএনপি ৩০ দফা সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের সংস্কার প্রস্তাবকে মান্য করে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। যাতে করে শহীদ জিয়া, আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যে স্বপ্ন স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ, সেই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ড. ইউনূস সরকার পদক্ষেপ নেবে আশা করি। আমরা আশা করি, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের এ সরকার নির্বাচন সম্পর্কিত সংস্কার সাধন করে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেবে। যাতে করে নির্বাচিত ব্যক্তিরা দেশ শাসন করতে পারে। এর আগে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় শোভাযাত্রা ও সমাবেশে অংশ নিতে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে দুপুর থেকেই খ খ মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় নেতা-কর্মীদের হাতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের ছবি, জাতীয় ও দলীয় পতাকাসহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। ধীরে ধীরে কানায় কানায় ভরে যায় নগরীর ঐতিহাসিক কালেক্টরেট মাঠ। পরে বিকালে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আবদুল হাবিব দুলু, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু প্রমুখ।