মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের কষ্ট লাঘবে সরকার কাজ করছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ইকোফিশ-২ প্রকল্পের রেজাল্ট শেয়ারিং এবং ফেজআউট কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। ইকোফিশ টু আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএসএআইডির সহযোগিতায় ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ পরিচালনা করেছে। উপদেষ্টা বলেন, ইলিশ আমাদের খুব বড় একটা সম্পদ। ইলিশের সঙ্গে অনেক জেলে ও জেলে পরিবার জড়িত। মা ইলিশ ও জেলেদের রক্ষা করতে কাজ করছি। তবে আমার মনে হয় না, সেটা যথেষ্ট। ইলিশ ধরায় বর্তমানে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে, এ সময় যেন জেলেরা কষ্ট না পায়, তাদের যেন অভুক্ত থাকতে না হয় তার জন্য সরকার চেষ্টা করছে। এ সাহায্যটা আরও বাড়ানো হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিল্লুর রহমান, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর রিড জে. অ্যাশলিম্যান, ওয়ার্ল্ডফিশের প্রোগ্রামস অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর ড. অ্যান এলিজাবেথ ফ্লেমিং ও ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশের ইন্টারিম কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. বিনয় কুমার বর্মণ।
বাংলাদেশ গরিব নয় উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, আমাদের যে প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, সামুদ্রিক সম্পদ রয়েছে, আমরা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে আমাদের গরিব থাকার কথা নয়। আমাদের নারীরা যদি স্বাবলম্বী হয় তাহলে তাদের আর বসে থাকতে হবে না, পাখা মেলে উড়তে পারবে। উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের সমুদ্রবিজ্ঞানীদের ব্যবহার করতে পারছি না। যারা মাছ ধরেন, তাদেরও যেন আমরা সমানভাবে মর্যাদা দিই। তারাও এক হিসেবে বিজ্ঞানী। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এজেন্সিগুলোকে অনুরোধ করব, এ প্রকল্পের কাজটা যেন কোনোভাবেই বন্ধ না হয়। এটা যেন চলমান থাকে।