বছরজুড়েই মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ রাজশাহী নগরবাসী। বছরে বছরে বরাদ্দ ও খরচ বাড়িয়েও মশার দাপট কমাতে পারেনি রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। স্থানীয়দের অভিযোগ, সিটি করপোরেশন প্রচারণা চালিয়ে মশা নিধনের কথা বললেও বাস্তবে মশা বেড়েছে কয়েক গুণ।
রাসিক সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মশক নিধনে বরাদ্দ ছিল ৭৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ধরা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, মশা মারতে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তারা। নগরবাসী জানিয়েছে, বিকালের পর থেকে মশার উৎপাত বাড়ে। সন্ধ্যার পর মশারির বাইরে বসে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। কয়েল জ্বালিয়েও ফল মিলছে না। এ নিয়ে নগরবাসীর ােভের যেন শেষ নেই। মাঝেমধ্যে সিটি করপোরেশনের প থেকে প্রচারণা চালিয়ে মশা নিধনের কথা বলা হলেও বাস্তবে এসবের কোনো ফল নেই।
পরিচ্ছন্নতা বিভাগের তথ্যমতে, নগরীতে ছোট-বড় মিলে মোট ৩৯২ কিলোমিটার ড্রেন আছে। এসব এলাকায় গত বছরের জুন থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৮০০ লিটার লার্ভিসাইড ও অ্যাডাল্টি সাইড নামে মশা নিধনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। যাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা।
পরিচ্ছন্ন বিভাগ সূত্র জানায়, মশক নিয়ন্ত্রণে মহানগরীতে ফগার মেশিনে কীটনাশক স্প্রে কার্যক্রম আজ থেকে শুরু করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগ। এ কার্যক্রম চলবে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত। প্রতিদিন পাঁচটি ওয়ার্ডে চক্রাকারে ফগার মেশিনে কীটনাশক স্প্রে করা হবে।
নগরীর সাহেববাজার এলাকার ব্যবসায়ী অশোক কুমার বলেন, ‘মশার যন্ত্রণা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। সকাল-দুপুর কিছুটা সহনীয় হলেও সন্ধ্যায় পর দোকানে থাকাই যায় না। কয়েল জ্বালিয়েও পরিত্রাণ মেলে না।’ রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন বলেন, ‘আমরা মশার ডিম ধ্বংসকারী ওষুধ লার্ভিসাইড আর উড়ন্ত মশা মারার জন্য অ্যাডাল্টিসাইড ব্যবহার করি। তবে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আগে মানুষকে সচেতন হতে হবে। আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে মশার উৎপাত কমবে।’