দুই পেসার নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ আজ তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামবেন। দুজনে গতকাল দিন পার করেছেন রানের খাতা না খুলে। রানের খাতা খোলার পাশাপাশি দুজনের সামনে আজ আরেকটি হাতছানি রয়েছে। বাংলাদেশের স্কোর ৫০০ করতে হলে দুই টেল এন্ডারকে স্কোর বোর্ডে আরও ১৬ রান যোগ করতে হবে। গতকাল বৃষ্টি বাধায় খেলা হয়নি ২৯ ওভার। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের জোড়া সেঞ্চুরিতে টাইগাররা প্রথম দিন ৩ উইকেটে ২৯২ রান করেছিল ৯০ ওভারে। গতকাল আড়াই ঘণ্টা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় বাংলাদেশ ইনিংসে ব্যাটিং করেছে মোট ১৫১ ওভার। অধিনায়ক নাজমুলের ১৪৮, মুশফিকের ১৬৩ ও লিটন দাসের ৯০ রানে টাইগাররা দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান তুলে। দ্বিতীয় দিন ৬১ ওভারে যোগ করেছে ৬ উইকেটে ১৬২ রান। ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও টাইগার অধিনায়ক আউট হয়েছেন ১৪৮ রানে। দারুণ খেলতে থাকা মুশফিক সাজঘরে ফেরেন ১৬৩ রানে। আগের দিন ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে খেলতে নামে নাজমুল বাহিনী। নাজমুল-মুশফিক জুটি বিচ্ছিন্ন হন আরও ১৭ রান যোগ করে দলীয় ৩০৯ রানে। দুজনে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ২৬৪ রান। যা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ২৬৬ রান। মুমিনুল ও মুশফিক ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে করেছিলেন। শ্রীলঙ্কার মাটিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি ২৬৭। ২০১৩ সালে মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিক এ জুটি গড়েছিলেন। মুশফিক গতকাল ব্যাটিংয়ে নামেন ১০৫ রান নিয়ে। বৃষ্টিতে এক সেশন ভেসে যাওয়ার পরও তিনি আউট হন ১৬৩ রানে। ৩৫০ বলের ইনিংসটিতে চার ছিল ৯টি। ৯৭ টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার ৩৫০ বল বা তার চেয়েও বেশি বল খেলেছেন মুশফিক। সবচেয়ে বেশি বল খেলেছেন ৪২১টি। ক্যারিয়ারে তার সেঞ্চুরি ১২টি। ৭টি দেড় শ ঊর্ধ্ব ইনিংস। নাজমুল ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেন ২৭৯ বলে ১৫ চার ও এক ছক্কায়। লিটন ৯০ রানের ইনংসটি খেলেন ১২৩ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায়।