বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক একটি অর্জন আসে এবং রাষ্ট্রনায়ক অথবা রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের অযোগ্যতা ও অনভিজ্ঞতাজনিত কর্মদোষে সে সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে অর্জিত দেশের স্বাধীনতার চেয়ে বড় অর্জন আর ছিল না। পাকিস্তানের কারাগারে থাকাকালে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর অজান্তেই প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। অনেকটা রামায়ণের কাহিনির মতো। রামকে বনবাসে পাঠানো হলে অযোধ্যা শাসনের দায়িত্ব ন্যস্ত হয় তাঁর বৈমাত্রেয় কনিষ্ঠ ভ্রাতা ভরতের ওপর। ভরত নিতান্ত নাছোড়বান্দা হিসেবে ভাইয়ের পাদুকা সিংহাসনে রেখে আরেকটি নিচু আসনে বসে রাজ্য শাসন করেন। সৈয়দ নজরুল ইসলামও তা-ই করেছিলেন।
পাকিস্তান থেকে লন্ডন, দিল্লি ও কলকাতা হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি ঢাকায় ফিরে আসার দুই দিন পর ১২ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নাতীত ক্ষমতা, অতএব পুতুলতুল্য রাষ্ট্রপতি পদে তিনি থাকবেন কেন। রাজনৈতিক নেতা হিসেবেও তখন তিনি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সমালোচনার ঊর্র্ধ্বে। তিনি উঠতে বললে তাঁর দলের নেতারা ওঠেন এবং বসতে বললে বসেন। জনগণের ভক্তির তো সীমা-পরিসীমা ছিল না, যুদ্ধের সময় তাঁর নাম জপে মরেছে। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ৮০ দিন পর ১৯৭২ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম দিবসে তার মুখনিসৃত ‘আগামী তিন বছরে আমি তোমাদের কিছু দেবার পারব না’ বাণী মেনে ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষে কয়েক লাখ বাঙালি মরতেও দ্বিধা করেনি।
কিন্তু তিন বছরে শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে যে কিছুই দিতে পারেননি, তা নয়। তিনি এক কথার মানুষ ও কথামালার জাদুকর ছিলেন। তিনি কখনো তাঁর প্রতিশ্রুতির কোনো ব্যত্যয় ঘটাননি। তাঁর প্রতিশ্রুত ‘কিছু দিতে না পারার তিন বছর’ কাটতেই শেখ মুজিব জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন একদলীয় শাসনব্যবস্থা ‘বাকশাল’। এই নতুন ব্যবস্থায় তিনিই রাষ্ট্রপতি হিসেবে সব ক্ষমতার উৎস এবং রাষ্ট্রীয় দল বাকশাল নামে অভিনব দলেরও প্রধান। তিনি ধারণা করেছিলেন যে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া গুটি কয়েক দেশ ছাড়া সমগ্র বিশ্ব তাঁকে তৃতীয় বিশ্বের তো বটেই ‘আফ্রো-এশিয়া-ল্যাটিন আমেরিকার’ সব মুক্তিকামী মানুষ তাঁকে মহান নেতা এবং গণতন্ত্র ও শান্তি আন্দোলনের পুরোধা’ বলে বিবেচনা করে। অতএব ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের ক্ষুদ্র একটি দেশশাসনে তাঁর একক ভূমিকাই যথেষ্ট। তিনি তো আর যে সে মানুষ নন। ঈশ্বরের অবতারসম। তাঁর ইচ্ছা ও মর্জির জয়গাথা লেখা শুরু হয়ে গিয়েছিল, যার নাম ‘মুজিববাদ!’ আমেরিকার মতো পরাশক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে টিকে থাকা বাংলাদেশের চেয়ে ক্ষুদ্র ও ওই সময়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক দশমাংশ জনসংখ্যার দ্বীপদেশ কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোও নাকি বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, শেখ মুজিবকে দেখেছি।’ তাঁকে আর পায় কে! নতুন ব্যবস্থায় শেখ মুজিবের ক্ষমতাপ্রয়োগের স্বাধীনতা ছিল অপার ও অবাধ। তাঁর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার মাঝেই নিহিত ছিল তাঁর দল, দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা। অতএব তাঁর এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই রাষ্ট্রের অগ্রাধিকার। তাঁর নিরাপত্তা মানেই রাষ্ট্রের নিরাপত্তা। কারণ তিনি ও রাষ্ট্র এক এবং অভিন্ন সত্তা। সেজন্য তিনি আগেভাগেই সৃষ্টি করেছিলেন ‘রক্ষীবাহিনী’ নামে জবাবদিহির ঊর্ধ্বে এক ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী।
তাঁর সুযোগ্যা কন্যা শেখ হাসিনা পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করতে এককদম পিছু হটেননি। বরং ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ‘জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯’ নামে একটি আইন প্রণয়ন করে তিনি ও তাঁর বোন ছাড়াও তাঁদের পুত্র-কন্যা ও তাঁদের স্ত্রী ও স্বামী এবং তাঁদের সন্তানসন্ততিরা বাংলাদেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন, রাষ্ট্রীয় খরচে তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে পিতার চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে ছিলেন। বাড়াবাড়ি করলে যা ঘটে পিতা ও কন্যার ভাগ্যে তাই ঘটেছিল। রাজসুখ তাঁদের কপালে সয়নি। তাঁরা হয়তো রাজনৈতিকভাবে যোগ্য ও অভিজ্ঞ এবং জনপ্রিয়ও ছিলেন। কিন্তু একটি স্বাধীন দেশকে তাঁদের মতো জনপ্রিয় নেতারা যতটা সামনে এগিয়ে নিতে পারতেন, দুজনই তাঁদের কর্মদোষে দেশকে সেই পর্যায়ে উন্নীত করতে পারেননি। তাঁরা কেবল নিজের ও সম্প্রসারিত পরিবারের সদস্যদের কল্যাণসাধনের কথা ভাবতেন। এর পরিণাম কী হতে পারে, সে ব্যাপারে তাঁরা একেবারেই উদাসীন ছিলেন বলা যায় না। কিন্তু তাঁরা তাঁদের অদৃষ্টের লিখন পাঠ করেননি। লখিন্দরের মতো নি-িদ্র আবাসেও তাঁরা নিরাপদ ছিলেন না। প্রকৃতপক্ষে তাঁরা নানা চেতনা, নানা পক্ষ-বিপক্ষের প্রাচীর তুলে জনগণের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে এবং দেশকে ভারতীয় আধিপত্যের কাছে সঁপে দিয়ে জাতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং দেশের জন্য আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
স্বাধীনতা অর্জনের ৫৩ বছর পর জাতির ভাগ্যোন্নয়নের এবং দেশকে সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক কাঠামো দেওয়ার আরেকটি সুযোগ এসেছে গত বছর জুলাই মাসে। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে অভাবিত এক বিজয়। প্রায় প্রস্তুতিহীনভাবে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্ররা সীমিত পরিসরে যে সংগ্রাম শুরু করেছিল, তা মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সরকারকে উৎখাত করার সর্বাত্মক ও প্রচণ্ড গণ অভ্যুত্থানের আকারে বিস্ফোরণে রূপ নেয়। হাসিনার সাড়ে পনেরো বছরের একচ্ছত্র শাসনে অস্ত্রধারী দলীয় ক্যাডারে পরিণত হওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের গুলির মুখে তরঙ্গের মতো ধেয়ে আসা নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার মুখে উপায়ান্তর না দেখে জীবন বাঁচাতে শেখ হাসিনা ও তাঁর অপকর্মের সব দোসরকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়। সাধারণত এ ধরনের বিপ্লবে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা থাকে বেশি এবং অনেক ক্ষেত্রে সে আকাক্সক্ষা স্বাধীনতার সুফল লাভের আশার চেয়েও বেশি।
কিন্তু এক বছর আগে গণ অভ্যুত্থান-পরবর্তী যে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল, সে সরকারের কাছে জনগণের, বিশেষ করে তরুণ ছাত্রসমাজের প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। সাড়ে পনেরো বছর টানা স্বৈরশাসন চালিয়ে যাওয়া একটি সরকারের পক্ষে যত জঞ্জাল সৃষ্টি করা, যত দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি করা সম্ভব, শেখ হাসিনা তাই করেছিলেন, যাতে তাঁর বিদায়ের পর কারও পক্ষে প্রশাসন পরিচালনা করা সম্ভব না হয়। অন্তর্বর্তী সরকারকে এই জঞ্জাল সাফ করার পাশাপাশি গণ অভ্যুত্থান চলাকালে গণহত্যা এবং এর আগে সাড়ে পনেরো বছর ধরে পরিচালিত গুম, খুন, অপহরণ, বছরের পর বছর পর্যন্ত গোপন কারাগার তথাকথিত ‘আয়নাঘর’-এ নিরীহ নাগরিকদের আটকে রাখার জন্য দায়ী ও হুকুমের আসামিদের বিশেষ টাইব্যুনালে যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বিচার করে শাস্তি বিধান করা উচিত ছিল। কিন্তু গণ অভ্যুত্থানের পর একটি বছর কেটে গেলেও সরকার তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে কার্যকর করতে না পারায় ‘মব জাস্টিস’-এর নামে দেশজুড়ে যে হত্যাকাণ্ড ও নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, তা দমন করতে পুলিশ বাহিনী কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। চাঁদাবাজি ও দখলবাণিজ্য বহুগুণ বেড়ে গেছে। এক বছরের মধ্যে জনগণ এতটাই হতাশ হয়ে পড়েছে যে তারা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের দায়সারা গোছের শাসনের মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য নির্ণয় করতে পারছে না।
যে কোনো বিপ্লব বা গণ অভ্যুত্থানের পর সুযোগসন্ধানী একটি দলের আবির্ভাব ঘটে, বাংলাদেশেও তা ঘটেছে। বিপ্লবোত্তর যে সরকার ক্ষমতায় আসে তারা কঠোর হাতে তা দমন না করলে দিনে দিনে সরকারের দুর্বল চেহারা সবার সামনে চলে আসে এবং দেশে আরেকটি নৈরাজ্য ও প্রতিবিপ্লব ঘটার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে তাই ঘটেছে। বিপুল জনসমর্থন সত্ত্বেও সরকার অজ্ঞাত কারণে কঠোর হতে না পারায় তারা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্বল সরকারের অভিধা পেয়েছে, যা কাম্য ছিল না। অথচ এ সরকারের জন্য অস্থিরতা দমন করে স্থিতিশীল একটি পরিবেশ ফিরিয়ে আনার সব অনুকূল অবস্থা শুরু থেকেই ছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, অন্যান্য উপদেষ্টা এবং তাঁদের সহকারীরা ব্যক্তিজীবনে সৎ হলেও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাহীন। সে জন্যই তাঁদের উচিত ছিল সবকিছু তড়িঘড়ি সম্পন্ন করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেওয়া। কিন্তু প্রথমেই তাঁরা বড় যে ভুলটি করেছেন, তা হলো সংবিধান বাতিল না করা।
তাঁরা ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দিয়ে অনেকটা তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব এনে। বর্তমান সংবিধান বহাল রেখে কীভাবে তাঁরা সংস্কার প্রস্তাবগুলো কার্যকর করবেন, তা বিরাট এক প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁরা সংস্কার প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিদ্যমান আইনকে কীভাবে সংশোধন বা পরিবর্তন করবেন? প্রথমেই কী তাঁদের উচিত ছিল না একধরনের ক্ষমতা ও অধিকারের কাঠামো স্থির করা? তাঁরা যেভাবে অগ্রসর হয়েছেন, তা এখনো যে প্রক্রিয়ায় জাতীয় নির্বাচনের দিকে যাচ্ছেন, তাতে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত শেষ তিনটি নির্বাচনের মতোই হবে এবং একটি বড় দল, যারা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা থেকে দূরে আছে, তারা ছলেবলেকৌশলে নির্বাচনের ফলাফল তাদের পক্ষে নিয়ে ক্ষমতা দখল করবে। তারা যে আওয়ামী লীগের শেখানো পথেই হাঁটবে তাতে এখন আর সন্দেহ নেই।
সরকার আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণা করেছে। হাতে এখনো পাঁচ মাস সময় আছে। পাঁচ মাসও কম সময় নয়। নির্বাচন কমিশন হয়তো অচিরেই নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করবে। বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে শুরু করেছেন। শেখ হাসিনার সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার আগপর্যন্ত নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার তিন মাসের মধ্যে কয়েকটি নির্বাচন তুলনামূলকভাবে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করেছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নিয়েছে। কঠোর হাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করাই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।
গণ অভ্যুত্থানের ক্ষত এখনো রয়ে গেছে। দেড় হাজার শহীদের মায়ের অশ্রু এখনো শুকায়নি। সন্তানহারা মা, ভাইহারা বোন এবং চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাওয়া তরুণরা তবু সুদিনের আশা করে তাদের ত্যাগ যাতে অর্থহীন হয়ে না যায়। নতুন যে সরকার আসবে তারা যাতে দেশ গড়ার সঠিক রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা দিয়ে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এবং জাতিকে বারবার পরীক্ষার সম্মুখীন হতে না হয়। তারা যাতে সদ্য অতীত স্বৈরাচারী শাসকের অপকর্মের পরিণতি থেকে শিক্ষা নেয় যে অন্যায়-অবিচার করলে তাদেরও একই পরিণতি হবে।
লেখক : যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক ও অনুবাদক