গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান জানিয়েছেন, ‘হানিট্র্যাপ চক্রের সদস্যদের অপকর্মের ভিডিও করার কারণেই তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন জিএমপি কমিশনার।
জিএমপি কমিশনার জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় সরাসরি আট জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে সাত জনকে এরইমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কমিশনার জানান, সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত আট জনের মধ্যে গ্রেফতারকৃতরা হলেন-
প্রধান আসামি কেটু মিজান, যার নামে ১৫টি মামলা রয়েছে। কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, যিনি হানিট্র্যাপ কার্যক্রমে জড়িত। আল আমিন, যার নামে ২টি মামলা। স্বাধীন, যার নামে ২টি মামলা। শাহজালাল, যার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে। ফয়সাল হাসান ও সাব্বির, যার বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া আরেক আসামি আরমান পলাতক রয়েছেন, তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা আসামিদের গ্রেফতার করেছি, হত্যার অস্ত্র উদ্ধার করেছি, সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে এবং অধিকাংশ প্রমাণ আমাদের হাতে। পিএম রিপোর্ট পেলেই যত দ্রুত সম্ভব চার্জশিট দিতে পারব বলে আশা করছি। ভিডিওগুলোও ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।’
তিনি জানান, ৫ আগস্টের পর অসংখ্য গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেছে। এতে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। পেটের দায়ে এসব শ্রমিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত