রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে গার্মেন্টস ও একটি কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেউ হারিয়েছেন ছেলে, কেউ হারিয়েছে ভাই। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন। তাদের ফিরে পেতে দিশাহারা হয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যদের কাছে ছুটছেন স্বজনরা।
মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনটি ঘিরে রেখেছেন ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা। কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ঘটনাস্থলের আশপাশে কান্না আর উৎকণ্ঠার ছাপ।
বিকেল ৫টার দিকে নতুন করে সারি সারি অ্যাম্বুলেন্স ভবনের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়। তখন স্বজনদের মধ্যে নতুন করে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। তাদের ধারণা, ভেতরে হয়ত আরও মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
এই গার্মেন্টস কারখানাতেই কাজ করতেন ২০ বছর বয়সী রবিউল্লাহ। সকাল থেকে পরিবারের লোকজন তার কোনো খোঁজ পাচ্ছে না।
রবিউল্লার বড় ভাই হাবিবুল্লাহ বলেন, আমার ভাই এই গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করত। আগুন লাগার পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। যার কাছে যাচ্ছি কেউ কিছু বলতে পারছে না। সকালে আগুন লাগার পর নিচের গেট বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তাই ৩য় ও ৪র্থ তলা থেকে কেউ বের হতে পারেনি। ওই দুই ফ্লোরে প্রায় ১০০ জন ছিলেন।
কারখানার গেট বন্ধের অভিযোগ তোলেন আরও কয়েকজন স্বজন। তারা জানান, আগুন লাগার সময় ভেতরে অনেক শ্রমিক আটকা পড়েছিলেন। কেউ কেউ কাচ ভেঙে বের হতে পেরেছেন, কিন্তু অধিকাংশই বের হতে পারেননি।
ঘটনাস্থলে থাকা নিপা নামে এক নারী বলেন, আমার বোনের ছেলে রবিন পোশাক কারখানার তিন তলায় কাজ করতেন। আগুন লাগার পর থেকে ওর কোনো খবর নেই। বারবার ফোন দিয়েছি, কোনো সাড়া পাইনি। এখনো জানি না ও বেঁচে আছে কিনা।
এদিকে আগুনের উৎস সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। তারা জানায়, উদ্ধার কাজ শেষ হয়নি। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ