ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। ছাত্রদলের হল কমিটি ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আজ শনিবার প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা আহ্বান করেছে প্রশাসন। এছাড়া এ বিষয়ে ছাত্রদলের সঙ্গেও বৈঠক করবে তারা।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) মধ্যরাতে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী মিছিল বের করেন। পরে রোকেয়া হল এবং সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে মিছিলে যোগ দেন।
মিছিল শেষে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান, উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদ, উপ-উপাচার্য সায়মা হক বিদিশা এবং প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বহাল রাখার ঘোষণা দেন উপাচার্য।
উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, নিবর্তনমূলক কোনো রাজনীতি আমরা চাই না। যে রাজনীতি গণরুমের জন্ম দেয়, সেটি আমরা চাই না। ১৭ জুলাই তোমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছ, তা বহাল থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন করতে যাচ্ছি। তোমরা ডাকসু নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছো—এটি আমাকে আশ্বস্ত করেছে।
উপাচার্যের ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান। এরপর প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ জানান, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের যে সিদ্ধান্ত আগে থেকে বহাল ছিল, উপাচার্য আজ জানিয়েছেন ১৭ জুলাইয়ের সমঝোতা বহাল থাকবে। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে ফোর্স করতে পারি না। তবে নিয়ম ভাঙার বিষয়ে শনিবার সকাল ১১টায় প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেব। এছাড়া যেসব ছাত্র সংগঠনের কথা আসছে, তাদের সঙ্গেও বসব।
প্রসঙ্গত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ১৬ জুলাই রাত থেকে বিভিন্ন হলে শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে বের করে দেন। এসময় তারা হল প্রাধ্যক্ষদের কাছ থেকে হলে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আদায় করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন