বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগের জন্য, ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন। তাহলে রাজনৈতিক মোড়টা তারা ঘুরাতে পারে। নির্বাচন বানচাল হতে পারে। সেজন্যই আমাদের, আপনাদের সবার সজাগ থাকতে হবে জাতীয় স্বার্থে। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সনাতনী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন ফ্রন্ট আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফ্রন্টের সভাপতি অপর্ণা রায় দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ।
, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপি নেতা মীর সরফত আলী সপু, রফিকুল ইসলাম এবং জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ মুজিব বিহারি-বাঙালি দাঙ্গা লাগিয়ে, বিহারি-বাঙালি আলাদা করে ১৯৭০-এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিলেন- এ অঞ্চলের লোকদের বাঙালি বানিয়ে। এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর পেছনে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পটু। দরকার হলে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে নেবে। তিনি বলেন, কোনো মানুষই সাম্প্রদায়িক না, কোনো ধর্মই না। কিন্তু কখনো কোনো কিছু মোকাবিলা করার জন্য দাঙ্গা-ফ্যাসাদ করাতে হয়, যাতে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আরেক দিকে চলে যায়। এরশাদও ৮৮ সালে এ কাজটা করেছিলেন। অনেক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এ ভারতবর্ষে, এ উপমহাদেশে হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। কিছু গুজবের কারণে। ভারতে এসব দাঙ্গা এখনো চলমান।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু-মুসলমান আমরা একটা বৃহত্তর সংস্কৃতির অংশ, আবার নিজ নিজ ধর্মের জন্য যে সংস্কৃতি, সেই সংস্কৃতির মধ্যেও একটা সমন্বয় ছিল। এখানে কোনো প্রভেদ ছিল না, এখানে কোনো বিভেদ ছিল না। এটাকে শেখ হাসিনা ভাঙতে চেয়েছেন। দেখাতে চেয়েছেন এদেশ বিভেদ-বিভাজনে ভরপুর। ‘সুতরাং, আমাকে সমর্থন করো’। আমি জোর করে জনসমর্থন ব্যতিরেকে দিনের ভোট রাতে করে আমি নির্বাচন কমিশন দিয়ে ভোট ঘোষণা করব।’ বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে এভাবেই বিনষ্ট করেছে।