গাজায় যুদ্ধবিরতি সফল করতে মধ্যস্থতাকারী মিশর ও কাতারের মাধ্যমে হামাস ‘নমনীয়তার বার্তা’ দিয়েছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, তারা এমন একটি বিস্তৃত চুক্তিতে রাজি, যেখানে সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে বিনিময়ে যুদ্ধ বন্ধ ও দখলদার বাহিনী গাজা থেকে সরে যাবে।
টেলিগ্রামে প্রকাশিত বিবৃতিতে হামাস সতর্ক করে বলেছে, গাজা শহর দখল করা এমন এক দুঃসাহসিক পদক্ষেপ, যার জন্য তাদের ভারী মূল্য দিতে হবে এবং এটি কোনো পিকনিক হবে না। তারা আত্মসমর্পণের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে। হামাস বলেছে, নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা ও ভ্রান্ত ধারণা ব্যর্থ হবে।
এদিকে, ইসরায়েলের গাজা পুনর্দখলের ঘোষিত পরিকল্পনা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ভয় ও হতাশা বাড়ছে। যুদ্ধবিরতি আলোচনা দীর্ঘায়িত হলেও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। অনেকে মনে করছেন, আন্তর্জাতিক নীরবতা ২২ মাস ধরে গাজায় বাস্তুচ্যুতি ও জোরপূর্বক অনাহারকে স্বাভাবিক করে তুলেছে।
গাজাবাসীর প্রশ্ন, যদি প্রতিটি রাস্তায় আবার ট্যাংক নামে, তবে গাজায় কী-ই বা অবশিষ্ট থাকবে? অনেকে মনে করছেন, কোথাও নিরাপদে যাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। তবুও অনেকে আগেভাগে মালপত্র গুছিয়ে রাখছেন, যাতে জোরপূর্বক আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে হলে প্রস্তুত থাকা যায়। একই সঙ্গে তারা সীমিত সরবরাহ মিতব্যয়ীভাবে ব্যবহার করছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল