বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান ও তার পরিবারের ১৫ হাজার কোটি রুপির নবাব সম্পত্তি নিয়ে কম ভোগান্তি পোহায়নি। এবার ভোপালের নবাব হামিদুল্লাহ খানের ২৫ বছর পুরোনো সম্পত্তি বিরোধ এই মামলায় তাদের জন্য বেশস্বস্তির খবর এসেছে।
১৫ হাজার কোটি রুপির এই বিশাল সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই চলছে। তবে ২০২৫ সালের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছে। গত জুলাই মাসে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে নিম্ন আদালতের আদেশ বাতিল করে। সেই নিম্ন আদালতের রায়ে সাইফ আলী খান, তার দুই বোন সোহা আলি খান ও সাবা সুলতান, এবং তাদের মা শর্মিলা ঠাকুরকে নবাব হামিদুল্লাহ খানের বৈধ উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিল। হাইকোর্ট সেই রায় ফিরিয়ে দিয়ে মামলাটি নতুন করে শুনানির জন্য নিম্ন আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
গতকাল শুক্রবার বিচারপতি পি.এস. নারসিমহা ও অতুল চন্দুরকর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওমর ফারুক আলি ও রাশিদ আলির করা এক আবেদন শুনানি করে। তারা নবাব হামিদুল্লাহ খানের বড় ভাইয়ের বংশধর। এই আবেদনেই হাইকোর্টের ৩০ জুনের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করে।
ঘটনার সূত্র পাত ২০০০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ঐ দিন ট্রায়াল কোর্টের রায়ে নবাবের মেয়ে সজিদা সুলতান, তার প্রয়াত ছেলে মনসুর আলি খান (সাইফ আলি খানের বাবা), এবং তার উত্তরাধিকারী সাইফ আলী খান, সোহা, সাবা ও শর্মিলা ঠাকুর নবাবের সম্পত্তির একমাত্র দাবিদার হিসেবে ঘোষিত হন। তবে পরে হাইকোর্ট সেই রায় বাতিল করে দেয়। আর এরপর থেকেই নিজেদের সম্পত্তি নিয়ে লড়াই করে নবাব পরিবার।
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট গত মাসে সাইফ আলী খানের দীর্ঘদিনের আবেদনও খারিজ করে দেয়। সেই আবেদনে তিনি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছিলেন, যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে ভোপালের এই সম্পত্তি ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে গণ্য হবে। আদালত তখন নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেয় এক বছরের মধ্যে মামলার শুনানি শেষ করতে। সুপ্রিম কোর্টের এই স্থগিতাদেশের ফলে আপাতত সাইফ আলী খান ও তার পরিবার সম্পত্তি নিয়ে আরও সময় পেলেন, তবে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি এখনও অনিশ্চিত রয়ে গেছে।
তথ্যসূত্র : এনডিটিভি।
বিডি-প্রতিদিন/শআ