নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, যেসব স্থলবন্দর দিয়ে তেমনভাবে আমদানি-রফতানি হয় না এবং লোকসানে চলছে, সেসব বন্দর বন্ধ করে দেয়া হবে।
শনিবার দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। নৌ পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ২৪টি বন্দরের মধ্যে ৮টি বন্দর বন্ধ করার পরিকল্পনা ছিল, এর মধ্যে ইতোমধ্যে ৪টি বন্ধ করা হয়েছে। বর্তমানে কার্যকর বন্দর ১২ থেকে ১৪টির বেশি নয়। বছরে যেখানে মাত্র ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হয় অথচ খরচ হয় তার চেয়ে অনেক বেশি, সেখানে আধুনিকায়ন করে লাভ নেই। যেসব বন্দর কার্যকর ও বড়, সেগুলোকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি কিছু নদীবন্দরও বেসরকারি খাতে পরিচালনার জন্য দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এর আগে তিনি বন্দরের সভাকক্ষে কাস্টমস বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা বন্দরের রাস্তাঘাট সংস্কার, ওয়্যারহাউস, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বন্দরে যেসব জটিলতা রয়েছে সেগুলো তুলে ধরেন ও এর সমাধান চান উপদেষ্টার কাছে। পরে তিনি বন্দর ও কাস্টমসের বিভিন্ন অবকাঠামো পরিদর্শন করেন।
এ সময় সেখানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান, কাস্টমসের রংপুর বিভাগীয় কমিশনার অরুণ কুমার, হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল