গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঝাড়াবর্ষা গ্রামে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হওয়া যুবক মেহেদী হাসানের মৃত্যুও রহস্য উদঘাটন করেছে সাঘাটা থানা পুলিশ। মেহেদী হাসান ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা নয়, নেশার টাকা নিয়ে বিারোধে জেরেই তাকে হত্যার পর ঝুঁলিয়ে রাখার চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত মেহেদী হাসানের ৩ বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের পর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, একই এলাকার শিপন (২৫), উজ্জল (২১) ও স্বয়ন (২৩)।
থানা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিপন, উজ্জল ও স্বয়ন বন্ধু মিলে মেহেদীকে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেন। স্বীকারোক্তিতে তারা জানান, গত ১৩ অক্টোবর রাতে রাতে মেহেদী হাসান সহ ৪ বন্ধু মিলে ইয়াবা সেবন করে। সেবন করা ইয়াবার টাকার ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে তিন বন্ধু মেহেদীকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং সময় অতিবাহিত করে। রাত গভীর হলে তিন বন্ধু মেহেদীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মেহেদীর বড় ভাই বেলালের শয়নকক্ষের পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘরের ধরনার সাথে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনায় নিহত মেহেদীর বড় ভাই বেলাল বাদী হয়ে স্বয়ন, শিপন, উজ্জল সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম বলেন, গ্রেপ্তার আসামীদের আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম