মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশ কাতার। এ দেশে ৩ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে অনন্য নজির গড়েছেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। কাতারের অবকাঠামো নির্মাণ খাতে শ্রমিকরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। দেশটির শ্রমবাজারে অনবদ্য অবদান ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির সফলতার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের সম্মাননা পেয়েছেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। তিনি দিগন্ত এক্সপ্রেস কন্ট্রাক্টিং অ্যান্ড হসপিটালিটি কোম্পানির কর্ণধার ও সিইও। কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলামের কাছ থেকে সম্মাননা সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন তিনি। মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে। শিক্ষাজীবন শেষে কাতারে পাড়ি জমান ২০১৯ সালে। সেখানে দিগন্ত এক্সপ্রেস কন্ট্রাক্টিং অ্যান্ড হসপিটালিটি কোম্পানি গড়ে তোলেন। কাতারে সফল প্রতিষ্ঠানে রূপ নেয় এটি। প্রতিষ্ঠানটি কাতারে গত সাত বছরে ৩ হাজার বাংলাদেশির জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করে। বাংলাদেশি উদ্যোক্তার এ উদ্যোগে কাতার থেকে বছরে কয়েক মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স বাংলাদেশে আসছে। মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, ব্যবসার ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনার দেশ কাতার। বিনিয়োগ, শ্রম, মেধা ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে কাতারে প্রবাসী বাংলাদেশিরা উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে ৫৭০ জন শ্রমিক নিয়ে আমার কোম্পানি দিগন্ত এক্সপ্রেস কন্ট্রাক্টিং অ্যান্ড হসপিটালিটি যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে। শ্রমিকদের বিষয়ে কাতার সরকারের নীতিমালা সতর্কতার সঙ্গে আমার প্রতিষ্ঠান অনুসরণ করে। যথাসময়ে শ্রমিকদের বেতন- বোনাসসহ অন্যান্য সুবিধাদি দিয়ে আসছি। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সম্মাননা সনদ পেয়ে আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানের সব সদস্য বাংলাদেশ সরকার ও কাতারে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞ। এ সম্মাননা সার্টিফিকেট আমার প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে।’ কাতারে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম জানান, কাতারে অবস্থিত বাংলাদেশি কোম্পানি দিগন্ত এক্সপ্রেস কন্ট্রাক্টিং অ্যান্ড হসপিটালিটি কাতারের ব্যবসাবাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিজেকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের মানসম্পন্ন সেবা এবং সময়মতো দায়িত্ব পালনে সফলতার পরিচয় দিয়ে আসছে। কাতারের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি প্রশংসার দাবিদার। কোম্পানিটি তাদের কর্মীদের দ্বারা বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
দেশে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন মনোহরগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠার দাবিসহ এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নে বেশ সোচ্চার। করোনা, বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে তিনি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থেকেছেন। তিনি সমস্যাগ্রস্তদের চিকিৎসা, দরিদ্র মেয়েদের বিয়ে ও অসহায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেন।