দুস্থ, গরিব, অসহায়সহ নিম্নবিত্ত পরিবারের রোগীদের বিনামূল্যে ও কম খরচে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আলোচিত মামুনুর রশীদ। স্থানীয়দের কাছে তিনি ‘গরিবের ডাক্তার’। মামুনুর রশীদ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। প্রতিদিন ১০০ রোগী আসে তাঁর কাছে। তাদের চিকিৎসা পরামর্শ ও ওষুধ দিয়ে নেন মাত্র ২০ টাকা করে...
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যসহ সংসারের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। হতদরিদ্র মানুষের চিকিৎসা খরচ চালানো এখন কষ্টকর। এমন পরিস্থিতিতে কম খরচে প্রথমে বিভিন্ন মাদরাসার এতিম-অসহায় মানুষের চিকিৎসা করেন মামুনুর রশীদ। দুস্থ, গরিব, অসহায়সহ নিম্নবিত্ত পরিবারের রোগীদের বিনামূল্যে ও কম খরচে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আলোচিত হয়েছেন তিনি। অনেকের কাছে তিনি ‘গরিবের ডাক্তার’। মামুনুর রশীদ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। প্রতিদিন প্রায় ১০০ রোগী আসে তাঁর কাছে। তাদের চিকিৎসা পরামর্শ ও ওষুধ দিয়ে নেন মাত্র ২০ টাকা করে। এত কম টাকায় চিকিৎসাসেবা পেয়ে উপকৃত হচ্ছে রোগীরা। তাঁর কাছে শুধু এলাকার নয়, উপজেলা, এমনকি বাইরের জেলারও রোগী আসে সেবা নিতে। দিনাজপুর শহরের চাউলিয়াপট্টিতে তাঁর নিজ বাড়িতে রয়েছে চেম্বার। শুক্রবার বন্ধ। এ ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং বিকাল ৪টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চিকিৎসা পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বিভিন্ন মাদরাসার এতিম শিশুদের চিকিৎসা বিনামূল্যে করেন। অর্থ উপার্জন করাই সফলতা নয়, বরং একজন অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তুলতে পারলেই সার্থকতা খুঁজে পান তিনি। মানবিক দিক চিন্তা করেই অল্প টাকায় সেবা দেন বলে জানান মামুনুর রশীদ। তিনি আরও বলেন, ‘আমার উদ্দেশ্য অসহায় মানুষের সঠিক সেবা দান করা। সত্যি বলতে টাকাপয়সাই জীবনের সবকিছু না। মানুষের ভালোবাসা আর দোয়া পাওয়ার জন্যই আমার এ উদ্যোগ। করোনার সময় থেকে এ সেবা দিচ্ছি এবং এ সেবা চলমান আছে।’ দূরদূরান্ত থেকে রোগী তাঁর কাছে আসে। গড়ে প্রতিদিন ১০০ রোগী আসে। এখানে রোগীদের জন্য আলাদা বসা ও নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। কয়েকজন রোগী জানান, তিনি মন দিয়ে রোগের কথা শোনেন ও আন্তরিকভাবে চিকিৎসা পরামর্শ দেন।