যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্ররা প্রায় ৩০ লাখ নিরপরাধ মুসলমানকে হত্যা করেছে। বিগত ২০ বছরে তারা বিভিন্ন মুসলিম দেশে এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।
ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের নেতা আবদুল-মালিক বদরুদ্দিন আল-হুথি এই মন্তব্য করেছেন।
তিনি মঙ্গলবার ইয়েমেনে শহীদ স্মরণ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত বার্ষিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
ইয়েমেনে এই শহীদ স্মরণ-অনুষ্ঠান পুরো এক সপ্তাহ ধরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চলবে।
আবদুল-মালিক বদরুদ্দিন আল-হুথি বলেন, “যে জাতি আল্লাহর পথে জিহাদের চেতনা ও শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে অগ্রসর হয়, সেই জাতি গর্বিত এবং বিপদ প্রতিহত করতে সক্ষম। আর শাহাদাত ধ্বংস ও অপমান থেকে রক্ষা করার এক শক্তিশালী প্রাচীর।”
ইয়েমেনি এই নেতা বলেন, ইসলামী উম্মাহর ইতিহাসে প্রাচীন যুগ থেকে উপনিবেশিক আমল এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত বড় বড় বিপর্যয় ঘটেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, আমেরিকানরা নিজেরাই স্বীকার করেছে যে, গত দুই দশকে তারা প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, যাদের অধিকাংশই ইসলামী উম্মাহর অংশ। আর তারা এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে এমন এক সময়ে, যখন মুসলিম জনগণ ছিল দুর্বল অবস্থানে।
আবদুল-মালিক বদরুদ্দিন আল-হুথি বলেন, শত্রুরা (ইসরায়েল) মানুষকে ক্ষুধার্ত রেখে ও অস্ত্রের মুখে (গাজায়) জিম্মি করে আত্মসমর্পণ করানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মুসলিম জাতিগুলোকে দাসে পরিণত করার লক্ষ্যে মানসিকভাবে বিভ্রান্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। তারা অন্য দেশ দখল করেছে কেবল নিজেদের স্বার্থে সেসব জনগণকে ব্যবহার করার জন্য।
আবদুল-মালিক বদরুদ্দিন আল-হুথি ভাষায়, “এই অত্যাচারী শক্তিগুলোর মধ্যে কোনও দয়া-মায়া নেই; নিজেদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য তারা যেকোনও অপরাধ করতে দ্বিধা করে না।” সূত্র: মেহের নিউজ
বিডি প্রতিদিন/একেএ