উত্তর-পূর্ব বসনিয়ার তুজলা শহরে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি নার্সিং হোমের ১০ জন বাসিন্দা নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ ও গণমাধ্যম। খবর এএফপির।
পুলিশের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, তুজলা অবসরপ্রাপ্তদের হোমে আগুন লাগার পরপরই দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এরই মধ্যে সপ্তম তলার বেশ কয়েকটি কক্ষ পুড়ে যায়। নিহতদের সবাই ওই তলার বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সদস্য, পুলিশ কর্মকর্তা, চিকিৎসাকর্মী, হোমের কর্মচারী ও বেশ কিছু বাসিন্দাকে তুজলা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের বরাতে জানা যায়, রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে ভবনের সপ্তম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়লেও কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও হোমের এক বাসিন্দা রুজা কাজিক স্থানীয় সম্প্রচারক বিএইচআরটি-কে বলেন, ‘আমি তৃতীয় তলায় থাকি। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি উপর থেকে আগুনের জ্বলন্ত বস্তু পড়ছে। আমি দৌড়ে করিডোরে যাই, উপরের তলায় তখনো অনেক মানুষ বিছানায় শুয়ে ছিলেন।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, নার্সিং হোমের ওপরের তলায় আগুন ও ধোঁয়া বের হচ্ছে, চারপাশে দমকল বাহিনীর তৎপরতা চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আগুন সম্পূর্ণভাবে নিভে গেলে ও ভবনটি নিরাপদ হলে ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হবে।
বসনিয়ার ত্রিপক্ষীয় প্রেসিডেন্সির চেয়ারম্যান জেলজকো কমসিক নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। মুসলিম-ক্রোয়েট ফেডারেশনের প্রধানমন্ত্রী নেরমিন নিকসিক এক বিবৃতিতে ঘটনাটিকে ‘বিরাট মাত্রার মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ