গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে খাদ্যসহায়তা বিমান থেকে ফেলছে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। শনিবার (৯ আগস্ট) মধ্য গাজার নেটজারিম করিডোরের কাছে এই সহায়তার একটি বাক্স মাথায় পড়ে নিহত হয়েছেন ১৫ বছরের মুহান্নাদ জাকারিয়া ঈদ।
আলজাজিরা যাচাইকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, মুহান্নাদের নিথর দেহ ঘিরে স্থানীয়রা জড়ো হয়েছেন। কেউ কেউ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু তার মুখ রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। অন্য এক ফুটেজে দেখা যায়, ভাই তাকে স্থানান্তর করছেন এবং নুসাইরাতের আল-আওদা হাসপাতালে বাবা তার মৃতদেহ আঁকড়ে ধরে কান্না করছেন।
ভাই রয়টার্সকে জানান, দুর্ভিক্ষ ও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে মুহান্নাদ সাহায্য নিতে গিয়েছিল, কিন্তু বিমান থেকে ফেলা একটি বাক্স সরাসরি তার মাথায় পড়ে মৃত্যু হয়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সাহায্যের নামে বাচ্চাদের হত্যা করা হচ্ছে, কেউ আমাদের অনুভব করে না।”
জাতিসংঘ বহুবার সতর্ক করে বলেছে—বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা বিপজ্জনক, অকার্যকর ও ব্যয়বহুল। তারা ইসরায়েলকে স্থলপথে অবিচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে আহ্বান জানিয়েছে।
গাজা সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার ঘটনায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত এবং ১২৪ জন আহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ বারবার স্থলপথে খাদ্য, শিশুর দুধ, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রবেশের দাবি জানালেও তা উপেক্ষিত হচ্ছে।
সোর্স: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/আশিক