বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেছেন, বিচ্ছিন্নতায় নয়, জাতীয় সম্পৃক্ততায় বিশ্বাস করতে হবে পাহাড়িদের। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার প্রশ্নে কোনো আপস করা চলবে না। দেশের সব নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবেন। এ ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের একটাই পরিচয় হবে সবাই বাংলাদেশি।
গতকাল রাজধানীর মহাখালীর এসকেএস টাওয়ার মিলনায়তনে ‘স্বাধীনতা সুরক্ষা পরিষদ’ আয়োজিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের উগ্রপন্থি সংগঠনগুলোর স্বায়ত্তশাসনের দাবি, বিরাজমান সমস্যা ও সমাধানের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফরিদুল আকবরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মুস্তাফিজুর রহমান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মতিউর রহমান প্রমুখ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম, ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শাহদাত হোসেন, মেজর (অব.) সারোয়ার হোসেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাফিজুর রহমান বীর প্রতীক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আজিজ প্রমুখ। কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সম্পদ সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম। আঞ্চলিকভাবে ভূ-রাজনৈতিক, ভূ-কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক এলাকা। মানচিত্রের ওপর চোখ রাখলে বুঝা যায়, ভূখণ্ডটি নিছক একটি ভৌগোলিক অঞ্চলই নয়, উত্তরে ভারতের অংশবিশেষসহ চীন, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পূর্বে ভারতের বিতর্কিত ও বিদ্রোহী এলাকা এবং পূর্বে মিয়ানমার- এসব কিছু মিলিয়ে তা একটি স্ট্র্যাটেজিক ইউনিটের রূপ ধারণ করে। যার ফলে এ অঞ্চলটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আঙ্গরপোতা ছিটমহল, বেরুবাড়ির দিকে যাদের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছিল, তারাই পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী জীবন দিয়ে এই পার্বত্য চট্টগ্রামকে রক্ষা করেছে।