১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও নবাব সলিমুল্লাহর কবর জিয়ারত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর নেতারা। গতকাল সকালে রাজধানীর রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের কবরস্থানে গিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন নবনির্বাচিত ডাকসু নেতারা। এ সময় জুলাই বিপ্লবের শহীদদের গণকবর জিয়ারত ও দোয়া এবং এই অঞ্চলের মুক্তি-সংগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম অগ্রপথিক নবাব সলিমুল্লাহর কবরও জিয়ারত করেন তারা। ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, শহীদরা আমাদের প্রেরণার বাতিঘর। তাদের আকাঙ্ক্ষা নতুনভাবে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য চেষ্টা করবে নতুন কমিটি। যেভাবে জুলাই আন্দোলনে কাজ করেছি সেভাবেই ঢাবি থেকে গণতান্ত্রিক বার্তা সর্বত্র পৌঁছে দিতে চাই। এ ছাড়াও গতকাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে দেখতে যান সাদিক কায়েমসহ অন্য নেতারা। এ সময় তারা নুরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং সমবেদনা জানান। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এবার পালা নির্বাচিতদের অভিষেকের।
তবে এখনো বাকি দিনক্ষণ নির্ধারণ। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন জানান, ‘এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। হয়তো এ ব্যাপারে শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দেবে।’ এদিকে অভিষেকের জন্য চলছে ডাকসু ভবন সংস্কারের কাজও। গতকাল দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, ডাকসু ভবনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত কর্মচারীরা। বহুদিন ধরে পরিচর্যা না হওয়ায় অযত্নে আছে কক্ষগুলো।
জিএস-এজিএসসহ অন্য কক্ষের নেমপ্লেট থাকলেও ভিপির কক্ষের নেমপ্লেট নেই; জিএস-এজিএসের কক্ষে ডেস্কটপ কম্পিউটার থাকলেও ভিপির কক্ষে সেটিও নেই। শিগগিরই ভবন সংস্কারসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র মেরামতে দরপত্র দেওয়া হতে পারে বলে জানা যায়। কর্মচারীরা জানান, ‘ইতোমধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ পুরোপুরিভাবে শেষ করেছেন তারা। কিছু সংস্কার কাজ বাকি আছে সেটি অভিষেকের আগেও হতে পারে, আবার পরেও হতে পারে এটি নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। নির্বাচিতরা দায়িত্ব নেওয়ার পরই হয়তোবা পুরো কাজ সম্পন্ন করা হবে।’