চীনকে মৃত্যুপুরী বানিয়ে ভয়াবহ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এখন বিশ্বের ৮৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে পড়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আতঙ্কে কাঁপছে বিশ্ব। গত বছরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর করোনাভাইরাস দেশটিতে কেড়ে নিয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি প্রাণ। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী চীনে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১২ জনের। এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
মহামারী রূপ নেই এই ভাইরাস থেকে শিশুদের রক্ষার জন্য সতর্কতা ও পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘের শিশুদের নিয়ে কাজ করা বিশেষ সংস্থা ইউনিসেফ।
ইউনিসেফ জানায় :
১. করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে ছুঁলে বা তার হাঁচি বা কাশিতেই ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস।
২. করোনাভাইরাস বাতাসে অনেক ঘণ্টা সক্রিয় থাকে। তাই অনেক পরেও ওই ভাইরাস শরীরে সংক্রামিত হতে পারে।
৩. করোনায় আক্রান্ত হলে প্রথমে জ্বর, সর্দি-কাশি থেকে শুরু হয়। তারপর শুরু হয় শ্বাসকষ্ট।
৪. ধীরে ধীরে নিউমোনিয়া দেখা দেয়।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে এই ভাইরাসে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণত একটু কম হয়। তাই শিশুদের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে একটু বেশি। সেক্ষেত্রে যা করতে হবে :
১. বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
২. নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. পরিবারে কারো জ্বর হলে শিশুকে দূরে রাখুন।
৪. আর শিশুর জ্বর, সর্দি, কাশি বা শ্বাসের সমস্যা হলে ডাক্তার দেখান।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম