কভিড-১৯ করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নির্দেশনা মানছে না নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ। ঘর থেকে বের না হতে সরকারি কোন আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ গায়ে-ই মাখছে না নগরবাসী। অনেকটা গা ছাড়া ভাব নিয়েই চলছে নগরীর অলিগলিতে জটলা আড্ডাসহ নানা জনসমাগম। প্রকাশ্যে ধূমপান থেকে শুরু করে চা-পানের দোকানগুলোতে চলছে জম্পেশ আড্ডা। মূল শহরের মোড়ে মোড়ে মিলছে জটলার দেখা। প্রশাসন থেকে নানাভাবে সতর্ক করার পরেও কিছু মানুষের এই রকম আনাগোনা নিয়ে চরম আতঙ্কে সচেতন বাসিন্দারা। সরকারি বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে যারা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার।
স্থানীয় সচেতন বাসিন্দাদের মতে, প্রশাসনের কড়াকড়ি পদক্ষেপ না হলে এই জনসমাগম রোধ করা সহজ হবে না।
এদিকে বুধবার শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে জনসমাগম এবং যান চলাচল স্বাভাবিক চিত্র দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে মানুষের জটলাও চোখে পড়ে। প্রশাসনের নির্দেশনা সত্ত্বেও অতি মুনাফালোভী কয়েকজন তাদের হোটেল এখনও খোলা রেখেছে। ফুটপাতে খোলা রয়েছে বিভিন্ন চায়ের দোকান। মূলত এসব দোকানের কারণেই নানা শ্রেণিপেশার মানুষের ভিড় ছিল লক্ষণীয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ফতুল্লা বিসিক শিল্পাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমজীবী মানুষদের জটলা। হোটেলগুলোতে চলছে আড্ডা। কেউ সতর্ক করলে তাকে নিয়ে উল্টো হাসিঠাট্টা করা হচ্ছে।
আলম মিয়া নামের একজন জানান, তরকারি কিনতে গিয়ে দেখলাম চায়ের দোকানে চলছে আড্ডা। নিষেধ করায় উপস্থিত অনেকেই আমাকে নিয়ে টিটকারি করা শুরু করে দেয়। একজন আমাকে বলেন, “ভাই আল্লাহ না চাইলে করোনা থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না”।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, কেউ কথা না শুনলে আমরা জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। নির্দেশনা অমান্য করলে পুলিশ কঠোর হতে বাধ্য হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা